শিরোনাম
রংপুর সিটি করপোরেশনে মশকনিধনে দেড় কোটি টাকা, তারপরও বাড়ছে উপদ্রব এবার ভারতের ১৫ শহরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে চীন’ চার নেতা ও গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রস্তাব ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষিতে, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেবীগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দোকানে হামলা, ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৩ লাইভে গুলি করতে প্ররোচনার ঘটনায় বেরোবির প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে – আবহাওয়া অধিদফতর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, হয়েছেন ছাত্রদলেরও প্রচার সম্পাদক লাহোরে বিস্ফোরক-বোঝাই ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৮:২০ অপরাহ্ন

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বেতন বোনাস আদায় করলো কর্মচারীরা

ডেস্ক নিউজ / ৫৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

বেতন-বোনাসের দাবিতে প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে প্রধান নির্বাহী ও হিসাব রক্ষণ দপ্তর অবরুদ্ধ করে রাখার তিন ঘন্টা পর দাবি মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের কারণে সকাল থেকেই অফিসের তিন ঘন্টা সিটি করপোরেশনের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

বৃহস্পতিবার ( ২০ মার্চ) বেলা সোয়া ১১ টায় সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়ে কর্মচারীরা। এর আগে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে তারা।

পরে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতেমা এবং প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের রুমের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার ২৩ তারিখের মধ্যে মার্চ মাসের বেতনসহ বোনাস দেয়ার নির্দেশ দিলেও সিটি প্রশাসক তা দিচ্ছেন না। ঈদের আগে বেতন বোনাস না পেলে তার পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবেন। একারণে বেতন বোনাস দেয়ার দাবিতেই তাদের এই আন্দোলন। দাবি আদায় না হওযা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওযার ঘোষণা দেন তারা

এদিকে কর্মচারীরা কাজে না ফেরায় সকাল থেকে কোন সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বিভিন্ন টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিশু সন্তান নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা।

পরে বেলা ৩ টায় সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম বেতন বোনাসের ফাইলে সই করেন। পরে তারা আন্দোলন তুলে নেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বাজার সহকারী সুজাউদ্দৌলা জানান, বিগত বছরগুলোতে তারা বেতনের সাথে বোনাস পেয়ে আসছিলেন। বিভাগীয় কমিশনার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছেন। সরকার নির্দেশ দিলেও মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দিতে তিনি টালবাহনা করছিলেন। অবেশেষে আমরা আন্দোলনে নামার পর বিকেল ৩ টায় তিনি বেতন-বোনাসের ফাইলে সই করেন।

ফেরদৌসি নামের এক মাস্টাররোলের কর্মচারী জানান, ‘ আমরা মুসলিম। আমাদের মুসলিম কান্ট্রি। অথচ আমাদের বেতন বোনাসের জন্য আন্দোলন করতে হলো এটা খুব দুঃখের। আমরা প্রায় হাজার খানেক মাস্টার ও ডেইলি পেমেন্ট কর্মচারী আছি।’

সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, ‘ সরকারের নির্দেশনা ছিল ২৩ তারিখ মধ্যে বেতন বোনাস পাবে। আমি সই করেছি। আগামী রোববার থেকে তারা বেতন বোনাস পেয়ে যাবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ