শিরোনাম
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ জামাই-শাশুড়ি গ্রেফতার দেশের উচ্চশিক্ষার আধুনিকায়নে মিশ্র শিক্ষণ পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ: বেরোবি উপাচার্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলে বাংলাদেশকে সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয় : তারেক রহমান ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের টয়লেটে যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, রেলের কর্মচারী আটক মব সন্ত্রাসের জননী শেখ হাসিনা: বিএনপি নেতা ফারুক বাংলাদেশে পাচারের জন্যেই ভারত ফেনসিডিল তৈরি করে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু আমি নির্দোষ কোনো অপরাধ করিনি: পলক সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার এক ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না : বিএনপি
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০৬:১২ অপরাহ্ন

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্বমানের ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের নির্মাণকাজ অগ্রসরমান

ডেস্ক নিউজ : / ৫০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট বিশ্বমানের আধুনিক ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগের নির্মাণকাজ দ্রুত এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৭ তলা ভবনের ছাদ ঢালাই শেষ হয়েছে। আগামী বছর ভবনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝে দিতে নিয়মিত পরিদর্শন করছেন গণপূর্ত কর্মকর্তারা।

রংপুর বিভাগের মধ্যে এটি হবে বিশ্বমানের প্রথম ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট। এই অঞ্চলের দুই কোটি মানুষের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র হবে এটি। এতে স্বাস্থ্য সেবাখাতে সুবিধাপ্রাপ্তিতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এই জনপদের মানুষ।

শুক্রবার (১৬ মে) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মাঠ সংলগ্ন এলাকায় নবনির্মিত ভবনটি পরিদর্শন করেন গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান, রংপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলমসহ অন্যরা।

এ সময় কাজের গুণগতমান বজায় রেখে ভবন নির্মাণসহ আগামী বছর ডিসেম্বর মাসে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভবনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যাবে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ১ একর ৩৭ শতক জমির ওপর অত্যাধুনিক এই ইউনিটের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশার আলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করছে। দুটি বুনিয়াদি ভিত্তি (ভবনের ভূগর্ভস্থ অংশ) এবং ১৭ তলা ভবন বিশিষ্ট এই ইউনিটে ক্যানসারের জন্য ১৮০টি, কিডনির জন্য ১৬৫ এবং হৃদরোগের জন্য ১১৫টি শয্যা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

অনুমেদিত প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৯২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৬ টাকা। ঢাকার বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৮৩ কোটি ৪৬ লাখ ১৪ হাজার ৫৮২ টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ চলছে। এই প্রকল্পটি ২৪ মাস সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২১ সালের ৩০ মে।

নির্মাণাধীন জমিতে পানির স্তর উচ্চ হওয়ায় ৪০ ফিট মাটি কেটে কাজটি করাসহ মাঝে বৈশ্বিক করোনা অতিমারীর কারণে প্রকল্পের কাজ অনেকটা বিলম্বিত হয়। প্রায় ২ বছর পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ফের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর আগে ২০২২ সালে ৯ জানুয়ারি এই সমন্বিত ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রথমে এটি ১০০ শয্যার অনুমোদিত হলেও পরবর্তিতে ৪৬০ শয্যায় উন্নিত করা হয়।

এদিকে রংপুর বিভাগের সমস্ত মানুষের একমাত্র উন্নত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অথচ সেখানে প্রায়ই নেফ্রোলজি বিভাগে কিডনি ডায়ালাইসিসে যন্ত্র ত্রুটির কারণে ভুগতে হয় রোগীদের। সরকারি হাসপাতাল হলেও বেশি রোগী সেখানে ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পায় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতালটির হৃদরোগ বিভাগেও রয়েছে চিকিৎসক সংকটসহ নানা অব্যবস্থাপনা। রোগীর সাথে একের অধিক রোগীর স্বজনের দেখা মেলে বিভাগটিতে। একাধিক দর্শনার্থী প্রবেশ ও অবস্থান করা নিষেধ থাকলেও রোগীর স্বজনরা এই নিয়ম না মানায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের। অথচ অত্যন্ত মুমূর্ষু অবস্থায় এ বিভাগের প্রতিটি রোগীকে ভর্তি করানো হয়। একদিকে নির্ধারিত বেডের চাইতে রোগীর সংখ্যা বেশি, অপরদিকে চিকিৎসক সংকটের জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ সেবিকাগণও সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

এছাড়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীরা পাচ্ছেনা প্রযোজনীয় চিকিৎসা সেবা। দরিদ্র আর নিম্নবিত্ত রোগীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। এ পরিস্থিতিতে নির্মাণাধীন ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটটি ঘিরে আশার আলো দেখছেন এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, স্বাস্থ্য সেবাখাতে সরকারের বিভিন্ন সফল উদ্যোগের মধ্যে এটি রংপুর বিভাগের জন্য অনেক বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট। কিন্তু এখানে সব সময় আড়াই হাজার রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকে। হাসপাতালের আধুনিক বহুতল ভবনে ৩টি বিভাগ চালু হলে মূল ভবনে অনেক জায়গা তৈরি হবে। এতে অনেক রোগী সেবা নিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন এ ভবনটি চলতি বছরের ডিসেম্বরে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছে না। ভবনটি হাসপাতালের কাছে আগামী বছর ডিসেম্বরে হস্তান্তর করা হবে। ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ বিভাগের জনবল, সরঞ্জমাদি ও মেশিনপত্র সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করছি আগামী বছরের ডিসেম্বরেই এই ভবনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু হবে।

সূএ : ঢাকা পোস্ট


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ