এসএসসি পরীক্ষায় এবারও ভালো ফলাফল করেছে রংপুরের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এরমধ্যে শতভাগ পাসের তালিকায় রয়েছে রংপুর ক্যাডেট কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। সকলেই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদান, শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায় ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় এমন ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৫ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৫ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া রংপুর জিলা স্কুল থেকে ২৪২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে ২৪২ জন পাস করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৮ জন।
রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৭১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৬৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৩ জন। রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার ৫৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫৪২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩০ জন।
রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২৯০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৮৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২০ জন।
রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার ৪৯১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪৮০ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৪ জন। দ্য মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার ১৩৫ জন পরীক্ষার সকলেই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫ জন।
এদিকে ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। একে অপরকে মিষ্টি মুখ করিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
রংপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. মতিউল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ক্যাডেট কলেজের সুশৃঙ্খল পরিবেশ, গঠনমূলক অনুশাসন এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক তদারকি এই ভালো ফলাফলের অন্যতম অনুষঙ্গ।
তিনি আরও বলেন, ক্যাডেটদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে সমান গুরুত্ব প্রদান করা হয়। ক্যাডেটদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
প্রসঙ্গত, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৬৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৬২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ হাজার ৫১৬ ও ছাত্রী হচ্ছে ৭ হাজার ৫৪৬ জন।
এবারের পরীক্ষায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করেছে। ছাত্রীদের পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭৮ এবং ছাত্রদের ৬৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও ছাত্রদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা।
বিভাগের আটটি জেলার ২ হাজার ৭৮২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩টি। শতকরা ১০০ ভাগ পাস করা বিদ্যালয় রয়েছে ৪৮টি।
গত বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩। সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে। জিপিএ প্রাপ্তিতেও এই হার কমেছে। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ১০৫।