শিরোনাম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়ানো সেই মাসুদ এখন রমনার ডিসি প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় লাশ হলেন দুই ভাই আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ আ.লীগের ব্যবসাগুলো কারা চালায় আমরা জানি : হাসনাত আবদুল্লাহ পীরগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরো ছয়জনকে পুশ-ইন পঞ্চগড়ে ছেলের গলায় ছুরি ধরে মাকে গণধর্ষণ দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

রংপুরে সমন্বয়কের মা পরিচয়ে যুবদলকর্মীর নামে মামলা, মামলা তুলে নিতে চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা

ডেস্ক নিউজ : / ৫২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

তুচ্ছ ঘটনায় যুবদলকর্মী মজিদুল ইসলাম লিমনের বিরুদ্ধে সমন্বয়কের মা পরিচয়ে মামলা করেছেন এক নারী। শুধু মামলা করেই ক্ষান্ত হননি, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা। টাকা না পেলে আরো মামলার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রংপুর নগরীর রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষদ হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন ঘটনা তুলে ধরেন ভুক্তভোগী যুবদলকর্মী।

মজিদুল ইসলাম বলেন, গত ১১ জানুয়ারি নগরীর নুরপুর ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান মজনুর স্ত্রী ছবি বেগমের ছাগল তাদের চারাগাছ খেয়ে ফেললে তারা সেটি ধরে উঠানে বেঁধে রাখেন। পরে ছবি বেগম ছাগল নিতে এলে তার মা বাধা দিলে তিনি অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ছবি বেগমের স্বামী মিজানুর রহমান মজনু ও তার ছেলেমেয়েসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজন লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে আমার মাকে মারপিট করে এবং আমাদের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করে।

এতে দোকানের ক্ষতি করে এবং ক্যাশ বাক্সে থাকা মালামাল ক্রয়ের সাত হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে যায়। আমাদের চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে এলে তারা আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

ওই ঘটনায় ১৩ জানুয়ারি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি। উল্টো ২৩ জানুয়ারি তাদের মামলা গ্রহণ করে। ছবি বেগমের মেয়েরা আবির নামে এক সমন্বয়কের মাধ্যমে মামলাটি এন্ট্রি করান বলে জানা গেছে।

ছবি বেগম একজন মামলাবাজ নারী। তিনি মামলা দিয়ে হয়রানি করেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিলে মামলা তোলেন, না দিলে আরো মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। এভাবে ইতোমধ্যে তিনি ২০-২৫ জনের নামে মামলা করেছেন। ছবি বেগমের তিন মেয়ে রয়েছে। তারাই তার শক্তি। এই মেয়েরা কখনো সমন্বয়ক পরিচয় দেন, একটু উনিশ-বিশ হলেই নারী নির্যাতনের মামলার ভয়ভীতি দেখান।

তিনি আরো বলেন, আমি ছাত্রাবস্থায় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। বর্তমানে ২৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য। অথচ আমার নামে আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে ছবি বেগম গং।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই যুবদলকর্মী মামলাবাজ ছবি বেগমকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি তুলে তার ও পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মোকছেদ আলী, মাজিদুল ইসলাম, মাইদুল ইসলাম, ছোবেদা বেগম, পারভীনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সূএ : আমার দেশ অনলাইন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ