শিরোনাম
শিক্ষকদের জন্য ‘মাহেরীন চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড’ চালু করছে সরকার আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ; মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া ৫ দিনের রিমান্ডে আজ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু: প্রধান উপদেষ্টা পীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার নিহত। বেরোবির সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ পঞ্চগড়ে ছাত্রদল কর্মীর ছুরিকাঘাতে আরেক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বক্তব্য শেষ করলেন ‘রিকশাচালক দলে’র নেতা বিএনপির বিজয় র‍্যালিতে আ.লীগের সক্রিয় কর্মী, সমালোচনার ঝড় ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের চাকরি হবে: আমীর খসরু জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৮
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন

রংপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা বৈষম্যবিরোধীদের সেই নেতার পক্ষে ‘জমির মালিকের’ সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক নিউজ / ৯১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫

রংপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা বৈষম্যবিরোধী নেতাদের পক্ষে এবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, ইকোপার্ক নির্মাণ ও অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে যে জমিটির বিষয়ে আলোচনা উঠেছে, সে জমির মূল মালিক তিনি। তাঁর জমি দখল হওয়ায় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছেন। ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা অপ্রচার; বরং ওই নেতারা অর্থের প্রলোভন অগ্রাহ্য করে সেখান থেকে চলে আসেন।

আজ রোববার রংপুর নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদেরও প্রশ্নের জবাব দেন আজহারুল ইসলাম।

 

গতকাল শনিবার সকালে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিওতে শোনা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের সঙ্গে এক ব্যক্তির টাকা নিয়ে দরকষাকষি হচ্ছে। নাহিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে সংগঠন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন নাহিদ হাসান।

আজহারুল ইসলাম রংপুর নগরের কেরানিপাড়ার বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গঙ্গাচড়ার পূর্ব খলেয়া মৌজায় তাঁর ৪ একর ৫৯ শতাংশ জমি আছে। ২০১৯ সালে তাঁর ভাই আতিকুল ইসলাম ও মঞ্জুরুল ইসলাম গং জাল রিটের মাধ্যমে জমিটি দখল করেন। জাল চুক্তি সংগ্রহ করে তিনি আদালতে মামলা করলে আদালত সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করেন। পরবর্তী সময়ে সিআইডির তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হয়। কিন্তু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে তাঁর ভাইয়েরা জমি থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। তিনি কয়েক দফা প্রশাসনে অভিযোগ করেছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে কয়েক দফা জরিমানাও করা হয়। কিন্তু তিনি জমি উদ্ধার করতে পারেননি। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

আজহারুল ইসলামের দাবি, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের নেতাদের দ্বারস্থ হন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে যান। আজহারুলের ভাষ্য, আতিকুল ইসলাম তাঁর গুন্ডা বাহিনী দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের বিভিন্ন অনৈতিক অর্থের প্রলোভন দেখান। বৈষম্যবিরোধী নেতারা তাঁদের প্রলোভন অগ্রাহ্য করে সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় গোপন কথোপকথনের দৃশ্য ধারণ করে, যা এডিটিং করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঁদাবাজির ভিডিও বলে প্রচার করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ