গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দুই কমিটি এক বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
৩১ সদস্যের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ। সদস্যসচিব করা হয়েছে হাজিম উল হককে, মুখ্য সংগঠক আদনান সামির ও মুখপাত্র সিয়াম আহসান।
জেলা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মাহমুদ হাসানকে। ৩৯ সদস্যের এ কমিটির অন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মারুফ হোসেন, সদস্যসচিব তানজিম আলম, মুখ্য সংগঠক মাহামুদুর রহমান ও মুখপাত্র রুম্মানুল ইসলাম।
তবে কমিটি ঘোষণার পরই রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটি থেকে পাঁচ নেতা ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাঁরা হলেন রংপুর মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাজিমুজ্জামান, যুগ্ম সদস্যসচিব রাশিদ সাবাব, জেলা কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল মারুফ, যুগ্ম সদস্যসচিব রনি তালুকদার ও সংগঠক শিহাব আহমেদ। তাঁরা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।
এক ফেসবুক পোস্টে রাজিমুজ্জামান লেখেন, ‘ছাত্র সংসদের কেন্দ্রের যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের বলতে চাই, যে কমিটিতে বৈষম্য আছে, তেলবাজদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কৃতিত্বের বদলে কূটনীতি পুরস্কৃত হয়েছে।’
রাশিদ সাবাব ও রনি তালুকদারকে অবগত না করে কমিটিতে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে তাঁরা ফেসবুকে পোস্ট করে পদত্যাগ করেছেন। আবদুল্লাহ আল মারুফ ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এমন কমিটি চাই না।’
পদত্যাগকারী নেতারা বলছেন, কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন কয়েকজনকে; যাঁদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অনেকে আছেন, যাঁরা পদ পাননি। তাঁদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ বলেন, প্রত্যেকের ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। কেউ চাইলে সংগঠনে থাকতে বা পদত্যাগ করতে পারেন। তবে পদত্যাগের সংখ্যা নগণ্য।