রংপুরে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শনিবার (৭ জুন) সকাল ৮টায় রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. বায়েজীদ হোসাইন।
ঈদের বিশেষ খুতবা শেষে দেশের মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও ঐক্য কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় ফিলিস্তিন, ভারত, সিরিয়া, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের ওপর সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে মহান আল্লাহর কাছে অশ্রুসিক্ত প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
জেলার প্রধান এই ঈদ জামাতে প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্টজন এবং সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শুরুর আগে উপস্থিত মুসল্লিসহ রংপুরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, রংপুর জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। এ সময় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুসহ সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৭টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে, সকাল সাড়ে ৭টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ ও পুলিশ লাইন্স মসজিদ মাঠে, সদর হাসপাতাল মসজিদে পৌনে ৮টায়, কেরামতিয়া জামে মসজিদে ৯টায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগরীর বাহিরে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে রংপুর সদর, মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহ, পীরগাছা কারবালা মাঠ, তারাগঞ্জ চৌপথী ঈদগাহ, কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া ও পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠসহ জেলার আট উপজেলা ও ছিয়াত্তরটি ইউনিয়নে ঈদগাহ, মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
এদিকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জামাত দামোদরপুর বড় ময়দান মাঠে এবং গঙ্গাচড়ার তালুক হাবু ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই ঈদগাহে প্রতি বছরের মতো এবারও প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে রংপুর জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন থেকে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ সাজসজ্জা করার পাশাপাশি নগরীর সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ ঈদ মোবারক লেখা প্লাকার্ড ও ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে জেলার হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পাড়া মহল্লার গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।