বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো রংপুরের সিও বাজার। হঠাৎ ঘটে যাওয়া একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে মুহূর্তেই বদলে যায় এলাকার চিত্র। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
মেসার্স সিও বাজার এলপিজি অটো গ্যাস অ্যান্ড কনভার্সন সেন্টারে আজ দুপুরে ঘটে ভয়াবহ এই গ্যাস বিস্ফোরণ। ঘটনার সময় দুইটি চলন্ত বাস, একাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ১০ টির ও অধিক অ্যাম্বুলেন্সও ছিল ঘটনাস্থলেই।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, হঠাৎ এক তীব্র বিস্ফোরণে এলাকা কেঁপে ওঠে। চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, নিহত একজন, আহত ১৩ জন। নিহত ব্যক্তির নাম সেলিম রেজা আড়ঙ্গ, তিনি সেই গ্যাস পাম্পেরই একজন কর্মরত সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। গুরুতর আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
এলাকাবাসীরা জানায়, আশেপাশের বসত বাড়িতেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়ির থাই গ্লাস ভেঙ্গে গেছে অনেকেরই।
নিহত ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও, ধারণা করা হচ্ছে তিনি ওই সেন্টারের একজন কর্মচারী।”
সেইসাথে বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের দোকানপাট ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক বাদশা মাসউদ আলম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এখনো অনুসন্ধান চলছে – এলপিজি গ্যাস লাইনের কোন ত্রুটি থেকেই কি এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় রংপুর শহরের জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকা নিরাপদ ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সাধারণ জনগণকে সেখানে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, গ্যাস ও দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ঘটনার পর এলাকার যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয় এবং সাধারণ জনগণকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্তমানে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।