রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতনের বিরুদ্ধে একই পরিষদের নারী সদস্যকে (প্যানেল চেয়ারম্যান) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসের ২ তারিখে ওই নারী বাদী হয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যান বালারহাট ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনার পরে দলীয় পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসনাত রতন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কাজে বাইরে গেলে ওই নারী সদস্যকে দায়িত্ব দিয়ে যান। স্বাভাবিকভাবে চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে গঠে। গত ২৮ মার্চ সরকারি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনার কথা বলে তাকে রংপুর শহরের আদর্শপাড়ায় চেয়ারম্যানের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত সহকারী আল আমিন। ঘরে ঢুকে আলাপকালে পূর্ব পরিকল্পনা মতো আল আমিন সটকে পড়ে।
ওই নারী সদস্য বলেন, ‘কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সুযোগ পেয়ে আমি দু-একজন ইউপি সদস্যসহ লোকজনকে ঘটনাস্থলে আসতে বলি। তারা এলে চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। সমাধান না হওয়ায় চলতি মাসের ২ তারিখে রংপুর কোতয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা করি।’
মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল বাতেন হারুন বলেন, ‘এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রায় মাস দুয়েক আগে বহিস্কার করা হয়েছে। তিনি জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান হওয়ায় তাকে ওই ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছিল। তিনি এখন জামায়াতে ইসলামীর কেউ নন। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান হাসনাত রতনের ফোনে একাধিক কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে রংপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।