জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রংপুর মহানগর কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হয়েছেন শান্তি কাদেরী। তিনি ছিলেন জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সদস্য সচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরঞ্চল) সার্হিস আলমের স্বাক্ষরিত রংপুর মহানগর এই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী সাদিয়া ফারজানার দিনা, যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর নয়ন, মাহমুদুল ইসলাম মারুফ, আলমগীর কবির, বেলাল হোসেন, খন্দকার মইনুল হক, সদস্য ইমরান হোসেনসহ ২৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।
রংপুর মহানগর সমন্বয় কমিটির সদস্য ইমরান হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির গঠিত রংপুর জেলা ও মহানগর সমন্বয় কমিটির সাথে আমি পুরোপুরি দ্বিমত ঘোষণা করছি।
তিনি আরও লিখেছেন, এই কমিটি দ্রুত স্থগিত না করা হলে, রংপুরের জনগনকে সাথে নিয়ে রাজপথে সংগ্রাম করতে বাধ্য হবে সংগঠকরা। রংপুরবাসীর আস্থায় আঘাত করবেন না আশা রেখেই বলছি, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদেরকে আরেকবার সুযোগ দিচ্ছি। আপনারা এই সিলেকশন কমিটি বাতিল করে রংপুরের জনগনকে আপনাদের নেতৃত্ব মেনে চলার সুযোগ দানে বাধিত করিবেন। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছি, নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
রংপুর মহানগর সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর কবির ফেসবুকে লিখেছেন, উড়ে এসে জুড়ে বসা লোক দের দিয়ে এনসিপির কমিটি প্রকাশ করে। এনসিপিকে বিভাজন আর মাইনাসের পলিটিক্স শুরু করলো তার জবাব এনসিপিকে দিতে হবে।
ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ফেসবুকে পোস্ট করেন, ত্যাগীরা কমিটিতে কই? মীম ভাইয়ের মতো মানুষ এত নিচে কেন? ইমরান হোসেন ভাইকে সদস্য করে অপমানিত করা হলো। রংপুরে এনসিপিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া শেখ রেজওয়ান ভাইয়ের নাম নাই কেনো? আবরার সামির নাম নাই কেনো?
মহানগর বৈষম্য বিরোধীর মুখপাত্র খন্দকার নাহিদ হাসান ফেসবুকে পোস্ট করেন, হাতে গোনা দুই চারজন ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাকি একজনকেও দেখি নাই।
মহানগর বৈষম্য বিরোধীর সম্পাদক, দপ্তর ও প্রচার সেল রাজিবুজ্জামান হৃদয় কমেটি প্রকাশের পরপরই আক্ষেপ নিয়ে পোস্ট করেন, এনসিপির রংপুরের সমন্বয় কমিটি গঠন হয়েছে। ৫/৬ জন ব্যতিত কমিটিতে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে কয়জন অংশ নিয়েছিল? কয়জন সংগঠনের জন্য কাজ করেছে এতদিন চাটুকারিতা বাদ দিয়ে?
তিনি আরও লিখেছেন, এইসব সিদ্ধান্তে গোড়ায় গলদ স্পষ্ট-ব্যক্তিস্বার্থ আর পক্ষপাতের ফল। তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করে গড়া কমিটির খেসারত একদিন দিতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় যুব সংহতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শান্তি কাদেরীর বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর নয়ন বলেন, আজ থেকে তিনবছর পুর্বেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি থেকে শান্তি কাদেরী স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেছে। ঠিক সেই সময় থেকে, ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করে আসতেছে এ কারণে, শান্তি কাদেরী এনসিপিতে থাকায় কোন বাধা দেখতেছি না।