নীলফামারীর ডোমারে মেয়াদোত্তীর্ণ, ছত্রাক জন্মানো, পচা কেক খেয়ে এক শিশু সহ ৫ জন সাংবাদিক অসুস্থ হয়েছেন। গত ১১ আগস্ট সোমবার রাতে ডোমার উপজেলা শহরের মামুন ক্লথ স্টোরে সাংবাদিক আলমগীর হোসেনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডোমার বাজারের দত্ত সুইটস থেকে জন্মদিনের কেক আনা হয়। দিনাজপুরের মাসুম বেকারী’র তৈরীকৃত কেকটি দত্ত সুইটস সরবরাহ করে থাকেন। কেক খাওয়ার পরপরই উপস্থিত ৫ জন সাংবাদিক ও একটি শিশু বমি করতে থাকেন। পরে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে ফ্রীজে সংরক্ষিত করে রাখা কেকটি ছত্রাক জন্মানো, পচা ও কোন উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ নেই। পরে তাদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে সবাই সুস্থ আছেন।
দত্ত সুইটসের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা জানান, দিনাজপুর থেকে মাসুম বেকারী’র একজন সরবরাহকারী কেক এনে দেন। এসব কেকের গায়ে উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ উল্লেখ ছিল না। কেকের প্যাকেটে মেয়াদ না থাকাটা আমাদের ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে মেয়াদবিহীন কেক বিক্রি করবো না বলে অঙ্গীকার করে জানান, ঘটনার পর দোকানে থাকা মাসুম বেকারীর সব কেক ফেলে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও দত্ত সুইটস ‘কিন্ডার জয়’ নামের মেয়াদোত্তীর্ণ একটি শিশু খাদ্য বিক্রির কারণে জরিমানা গুণেছে। এছাড়াও গ্রাহকদের সঙ্গে অশোভন আচরনের অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে মাসুম বেকারী’র এস.আর রেজা জানান, আমি মাসুম বেকারী’র সঙ্গে কমিশন ভিত্তিতে ব্যবসা করি। নষ্ট কেকের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটা ভুল হয়েছে হয়তো কোনো অসাবধানতা বা অনিচ্ছাকৃত কারণে এমনটা হয়েছে। কেকের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, দোকানদারেরা আমাদের তারিখ দিতে নিষেধ করেন। তারা বলে, কেক বাইরে রাখলে তিন দিন ভালো থাকে, আর ফ্রিজে রাখলে দুই মাসও থাকবে। তাই প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ দিলে বিক্রি করতে সমস্যা হয় তাদের। প্যাকেটের গায়ে মেয়াদের তারিখ দিলে আমাদের জন্যও সমস্যা হয়, ব্যবসায়ীদের জন্যও সমস্যা হয়। এই কারণে কেকের প্যাকেটে মেয়াদ দিই না।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আলম জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।