মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীর একটি শাখা খালে প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে প্রায় শতাধিক গরু। ঈদুল আজহার আগে এমন একটি ঘটনায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা।
শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩৭টি মৃত গরু উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৬০টির মতো গরু।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল খাঁন বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে এবং গরু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। চরের ঘাস খাওয়াতে গরুগুলোকে প্রতিদিন খাল পার করে চর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ জোয়ারের পানি ও কচুরিপানার চাপে গরুগুলো খাল পার হতে গিয়ে পানির তোড়ে ভেসে যায়।
ভুক্তভোগী কৃষক মহসিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ৪টি গরু একসঙ্গে ভেসে গেছে। এমনটা আগে কখনো হয়নি, ভাবতেও পারিনি।
একই গ্রামের বাসিন্দা আবু তালেব সুজন খান বলেন, এই গ্রামে ২৫-৩০টি পরিবারের প্রায় ৫ শতাধিক গরু আছে। প্রতিদিন গরুগুলো চর থেকে ফিরে আসে। কিন্তু আজকের জোয়ারে শতাধিক গরু তীব্র স্রোতে ভেসে যায়। এটা আমাদের জন্য বিশাল ধাক্কা।
স্থানীয় হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন এবং খোঁজ নিতে ইউপি সদস্যকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গজারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আরাফাত বিন ছিদ্দিক বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে রয়েছি। ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি এবং যতটা সম্ভব সহায়তা করার চেষ্টা করবো।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৭টি মরা গরু উদ্ধারের তথ্য পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহায়তা দেয়া হবে।