শিরোনাম
আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ : এটিএম আজহার জামায়াতের জনসভা মঞ্চে শহীদ আবু সাঈদের বাবা-ভাই আপনি একদিন ভোট বিক্রি করবেন, তারা পাঁচ বছর ধরে নির্যাতন করবে: হাসনাত আফগান সীমান্তে ‘ভারত-সমর্থিত’ ৩০ সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের একদিনে আরও ২০৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার এখনো পাই নাই: আবু সাঈদের ভাই ক্ষমতায় গেলে আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশ বানাতে চাই: ফয়জুল করীম রংপুরে জামায়াতের জনসভা শুরুর আগেই কানায় কানায় পূর্ণ জিলা স্কুল মাঠ মুজিব পরিবার এ দেশে জমিদারি চালু করেছিল, তা আমরা ভেঙেছি: নাহিদ ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না’
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন

মুরাদনগরের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল র‍্যাব

ডেস্ক রিপোর্ট / ৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরেই এই জঘন্য ঘটনা ঘটানো হয়। দীর্ঘদিন ধরেই দুই ভাই শাহ পরান ও ফজর আলী মিলে ভুক্তভোগী নারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

র‌্যাব আরও জানায়, দুই মাস আগে ফজর আলী ও তার ছোট ভাই শাহ পরানের বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গ্রাম্য সালিশে জনসম্মুখে বড় ভাই ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড়-থাপ্পড়ও মারে। বড় ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে সুযোগের সন্ধানে থাকে শাহ পরান। সালিশের কিছু দিন পর ওই নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে ঋণ নেয়। ঋণের টাকা আদায়ের জন্য মাঝেমধ্যেই ফজর আলী ওই বাসায় যেত। এটাকেই অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুযোগ হিসেবে বেছে নেয় শাহ পরান।

র‌্যাব জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর নারীর বাবা-মা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মেলা দেখতে যান। এ সময় ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে নারীর ঘরে প্রবেশ করে। এর কিক্ষুক্ষণ পরে ওত পেতে থাকা শাহ পরান ও আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান এবং অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জন ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে নারীকে শারীরিক নির্যাতন করে। এ সময় অশ্লীল ভিডিওচিত্র ধারণ করে তারা। পরে সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর থেকে শাহ পরানসহ অভিযুক্ত সবাই আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব জানিয়েছে, বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ