রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ঘাঘট নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে পড়েছে নদী সংলগ্ন কৃষি জমি ও বসতবাড়ি। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে এই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের কোণাপাড়ায় সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাঘট নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে রমজান আলী, সাইফুল ও ফুলু মিয়ার নেতৃত্বে এই বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালু উত্তোলনের আগে ইউনিয়ন বিট অফিসার এসআই সিরাজুল ইসলামকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে “ম্যানেজ” করা হয়েছে। একইসঙ্গে মিঠাপুকুরের একজন রাজনৈতিক নেতার সুপারিশে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মৌখিক অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। এ কারণেই প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ ফুলু মিয়া জানান, তাঁরা কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করছেন না। তিনি বলেন, “আমরা শুধুমাত্র একজন প্রতিবন্ধীর বাড়ি তৈরি করার জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি। ইউএনও স্যারকে জানালে তিনি কাজ চালিয়ে যেতে বলেন, তবে শর্ত ছিল যেন কোনো অভিযোগ না আসে।” তিনি আরও দাবি করেন, কাজ শুরুর আগে চেয়ারম্যান, পুলিশ এবং ইউএনও সহ সবাইকে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, “আমি এ বিষয়ে একটি মেসেজ পেয়েছি। বর্তমানে আমি শঠিবাড়িতে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে আছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছুটি থেকে ফিরলেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”