রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগের জন্য নির্ধারিত লটারি কার্যক্রম আজ স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী রোববার (৩ আগস্ট) পুনরায় লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টায় লটারি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পন্ড হয়ে যায়।
সূত্র জানায়, ডিলারশিপ প্রাপ্তির লক্ষ্যে মোট ৪৫৭টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৩১৫টি আবেদনপত্র বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়। অপরদিকে ১৪২টি আবেদনপত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বাতিল করা হয়।
তবে বাতিল আবেদনকারীদের একাংশ দাবি করেন, তারা যথাযথ কাগজপত্র সংযুক্ত করেই আবেদন জমা দিয়েছিলেন। একাধিক আবেদনকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা তাদের আবেদন বাতিল হওয়ায় হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে সাময়িক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বাতিল আবেদনকারীদের মধ্যে একজন, শাহ-আলম মিয়া বলেন, “আমি সব কাগজপত্র দিয়েই আবেদন করেছিলাম। অথচ বলা হচ্ছে আমি ট্রেড লাইসেন্স দেইনি! একটি ডিলারশিপের আবেদন করবো অথচ ট্রেড লাইসেন্স দেবো না- এটা কি সম্ভব? অথচ চিহ্নিত আওয়ামী লীগের দোসররা ঠিকই নির্বাচিতদের তালিকায় রয়েছে। এই সরকারের আমলেও কি আমাদের এসব ভণ্ডামি সয়ে যেতে হবে?”
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, “রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অনুরোধে আপাতত লটারি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ১৪২টি আবেদন বাতিলের বিষয়ে যাদের আপত্তি রয়েছে, তাদের শনিবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তারা চাইলে ইউএনও অফিসে এসে তাদের আবেদন বাতিলের কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। রোববার যথানিয়মে লটারি অনুষ্ঠিত হবে।”
প্রসঙ্গত, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যক্রম, যেখানে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। কিন্তু আবেদন বাতিল নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।