সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল যতটা না গানে আলোচিত, তার চেয়েও বেশি চর্চায় থেকেছেন বিভিন্ন বিতর্কে। জি বাংলার জনপ্রিয় মিউজিক শো ‘সারেগামাপা’ দিয়ে আলো ঝলমলে ক্যারিয়ারের সূচনা হলেও, পরবর্তী সময়ে গানের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক নিয়েই বেশি শিরোনামে এসেছেন এই গায়ক।
সাম্প্রতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তিনি হয়েছেন ধর্ষণ মামলার কারণে। টাঙ্গাইলের এক নারীর অভিযোগে গত ২০ মে নোবেল গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। সেই নারীই এবার আলোচনার নতুন মোড় এনে দিয়েছেন—কারাগারের ফটকে নোবেলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে।
নোবেলের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার তাকে বিয়ের অনুমতি দেন। এরপর বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে কারা ফটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। জানা গেছে, এই বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। বিয়ের সাক্ষী হিসেবে দুপক্ষের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, খলিলুর রহমান ও সাদেক উল্লাহ ভূঁইয়া।
এটাই প্রথম নয়—নোবেলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। এরপর ১৫ নভেম্বর তিনি সালসাবিল মাহমুদ নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাকযুদ্ধ, পারস্পরিক প্রতারণার অভিযোগ এবং শেষমেশ আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
যদিও নোবেলের আইনজীবী দাবি করেন, ধর্ষণের অভিযোগ আনা নারীই আসলে তার স্ত্রী ছিলেন, তবে আদালতে সে সময় কোনো কাবিননামা উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বরং অভিযোগ ওঠে, সাত মাস ধরে ওই নারীকে জোরপূর্বক একটি বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।