চট্টগ্রামের হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম (হাটহাজারী মাদ্রাসা) সামনে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় কওমী ও সুন্নীপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় টায়ার জ্বালানো ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সাড়ে ৭টার পর থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙাামাটি আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। হাটহাজারী বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বাসচালক মোহাম্মদ সেলিম আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফটিকছড়ি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আরিয়ান ইব্রাহিম সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে ওই ছবি পোস্ট করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কওমি মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ তাকে পৌর সদর থেকে আটক করে। আটক হওয়ার পর তিনি ভিডিও বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউসার মাহমুদ বলেন, জশনে জুলুসকে কেন্দ্র করে কওমী ও সুন্নিপন্থীদের মধ্যে কিছু ঘটনার জেরে উত্তেজনা চলছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
এদিকে, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাত ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১৪৪ ধারা জারি করেন। আগামীকাল (রোববার) বিকেল তিনটা পর্যন্ত হাটহাজারী সদরে এ ধারা বহাল থাকবে।