শিরোনাম
যুদ্ধে জড়াতে চায় ইসরায়েল, পূর্ণ প্রস্তুতিতে ইরান মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে অর্থ লুট, ডিবি হারুনের ভাইসহ ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত পরীক্ষা দিতে এসে ধরা খেলেন ছাত্রলীগ নেতা, পুলিশের কাছে হস্তান্তর জুলাই যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে ২৫ কোটি টাকা দিবে বাংলাদেশ ব্যাংক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই চীন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের চালান পেলো ইরান জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল নীলফামারীর জলঢাকায় এক কলেজেই তিন অধ্যক্ষ! সময় ভালো যাচ্ছে না, অনেকেই অনেক কথা বলছেন : মির্জা ফখরুল রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পেটানো ওসি শাহ আলমকে বদলি এবার নীলফামারীর ৪ মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নূর
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন

মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে অর্থ লুট, ডিবি হারুনের ভাইসহ ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাবেক কাউন্সিলর সালেহা বেগম বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ লুটের ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

বরখাস্তরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান ও জিয়াউর রহমান। এদের মধ্যে মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের ভাই।

এ দিকে সোমবার (০৭ জুলাই) রাতে এই তিন কর্মকর্তাকে করা বরখাস্তের অফিস আদেশে বলা হয়, ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ধারা ১২ এর উপধারা ১ মোতাবেক সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে তাদের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করার আদেশ দেয়া হয়েছে।

সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগম অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তিনি বলেন, ‘গত ১৮ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন প্রথমে আমার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তাদের গাড়ির তেল খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন আমি তাদের ১০ হাজার টাকা দেই। পরবর্তীতে তারা আমাকে বাকি ১০ হাজার ঢাকা মোবাইলফোনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে বলে চলে যান। কিছুক্ষণ পরে তারা পুনরায় আমার ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র এলোমেলো করতে থাকেন। পরে প্রায় ৩ ঘণ্টার অধিক সময় নাটকীয়ভাবে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়।

একপর্যায়ে তারা ঘরের আলমারির তালা খুলে সেখানে থাকা নগদ ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নেন। আমার ছেলের ঘরে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো করে ও ঘরের আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমাকে ও আমার ছেলের স্ত্রীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। পরে জবানবন্দি ভিডিও রেকর্ড করা হয়।’

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করে। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ