ভোলার তজুমদ্দিনের চাঁচড়া ইউনিয়ন মহিলা দলের সভানেত্রী মালেকা বেগমকে নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ইব্রাহিম হাওলাদারকে দলের সর্বস্তরের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, তজুমদ্দিন উপজেলাধীন চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হাওলাদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের মহিলা দলেরই ইউনিয়ন সভাপতিকে মারধর করেছে। এটা কত বড় অনৈতিক ও কাপুরুষোচিত কাজ। তাকে আজকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন ভিজিএফ ত্রাণের তালিকা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে গত মাসে মালেকা বেগমের মতবিরোধ হয়। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের জন্য একশ সুবিধাভোগীর তালিকা চাইলেও কর্মকর্তা তা কমিয়ে দিতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে গেলে পরিকল্পিতভাবে চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হাওলাদারের নির্দেশে তার ওপর পাশবিক হামলা চালানো হয়।
মালেকা বেগম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সে সময় জানিয়েছেন, চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হাওলাদার, ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন কর্মচারী এবং দলের কিছু মহিলা সমর্থক তাকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভেতরে টেনে নিয়ে যান। সেখানেই রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মুখ, মাথা ও পিঠে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। শত শত মানুষের সামনে তাকে উলঙ্গ করে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হলেও এখনো অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়নি। প্রাণভয়ে মালেকা বেগম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে নির্মমভাবে মারধরের পরও উল্টো ভুক্তভোগীদের হয়রানি করতে পাল্টা মামলা করা হয়েছে বলে জানা যায়।