গাভী বিক্রি করে সংসারের ভরসা হিসেবে কিস্তিতে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান কিনেছিলেন জাকির হোসেন। সেই ভ্যান চালিয়েই চলছিল কিন্তু বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ে ফিরে এসে দেখেন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ভ্যানটি আর নেই। মুহূর্তেই যেন ভেঙে পড়ে তার সমস্ত স্বপ্ন।
জাকির হোসেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সিংগবরুণা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, কর্ণঝোড়া বাজার জামে মসজিদে নামাজ শেষে বের হয়ে এসে জাকির হোসেন ভ্যানটি না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভ্যানটির পেছনে লেখা নম্বরে ফোন দিয়ে একটি চক্র ২০ হাজার টাকা দাবি করেছিল বলেও জানা গেছে, তবে পরে আর কোনো যোগাযোগ করেনি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে জাকির হোসেন বলেন, ‘গাভী বিক্রির ৪০ হাজার টাকা দিয়ে নগদ দিয়েছিলাম, বাকিটা কিস্তিতে ৯৬ হাজার টাকায় ভ্যানটি কিনেছিলাম। প্রতিদিন এই ভ্যান চালিয়েই সংসার আর কিস্তি চালাতাম। এখনো প্রায় ১০ হাজার টাকা বাকি আছে। ভ্যানটি ছাড়া সংসার কিভাবে চালাবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার বিকেলে দুই যাত্রীকে নামিয়ে দ্রুত মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। কিন্তু নামাজ শেষে ফিরে এসে ভ্যান আর খুঁজে পাইনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেলেনি কোনো সন্ধান।
এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত চলছে।’ এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ জাকির হোসেনকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।