শিরোনাম
ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে চিলমারীতে বিক্ষোভ মিছিল চার উপদেষ্টার রংপুরে আগমন; বেরোবিতে ৬২ ঘণ্টার জন্য বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ছাত্রদল দাঁড়ালে আপনারা কোথাও দাঁড়াতে পারবেন না, রাবি ছাত্রদলের হুঁশিয়ারি নির্বাচন হচ্ছে না বলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে: ফখরুল জুলাই যোদ্ধাদের জন্য আজীবন ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ভাতা চালু ‘৫ কোটি টাকা’ না পেয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-গুলি তারেক রহমানের প্রশ্ন— জানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার কেন ব্যর্থ রংপুরে একদিনে আরও ২ ডেঙ্গু রোগী, সারাদেশে ৩৯১; মৃত্যু ১ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ মিটফোর্ডে হত্যা ইস্যুতে এনসিপির ‘লেজুড়বৃত্তি’, পদত্যাগ করলেন বৈষম্যবিরোধী নেতা
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ন

ভূমিহীনদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার দাবি বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে

ডেস্ক রিপোর্ট / ২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের এক ভূমিহীন পরিবার অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক বিরোধের জেরে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। শনিবার দুপুরে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সুজন মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে সরকারি পরিত্যক্ত খাস জমিতে বসবাস করে আসছে। তার বাবা আলমগীর হোসেন একজন দরিদ্র ভ্যানচালক ও কৃষক। অন্যের জমি বর্গা চাষ করেই চলে তাদের সংসার। সম্প্রতি ফসলি জমি বর্গা নিয়ে এলাকার কিছু প্রভাবশালী বিএনপি নেতা বিশেষ করে মেজবাহুল হক হৃদয় (সদর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব), শাহিন মিয়া (মমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৫নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক), জাকারিয়া, মুকুল মিয়া, আপেল, আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও ১০-১২ জন তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ১১ মার্চ চাচা আনারুল ইসলামকে পথ থেকে ধরে মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। চাচি ফরিদা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলেও আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে উল্টো পরিবারটির বিরুদ্ধে হুমকি দিতে শুরু করে।

পরবর্তী সময়ে, ২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে আবারও হামলা চালিয়ে বাবাকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয় এবং গভীর রাতে তাদের টিনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ৪টি বসতঘর, ১টি গোয়াল ঘর, মুরগি ও কবুতরের খামার, আসবাবপত্র, ৩০ মণ তামাকসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে জানান, আগুনে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছিল, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, আগুন নিভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আমাদেরকে বলেন কেমিক্যাল দিয়ে এই আগুন লাগানোর ফলে অতিদ্রুত এই আগুন ছড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করায় তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয় এবং পরিবারটিকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সুজন মিয়া।

এ ঘটনা আমার দাদি কাচুয়ানী বেগম দেখে চিৎকার করতে থাকলে আমরা জেগে যাই। তখন আমাদের নিজেদের জীবন বেচে গেলেও আমার বসত বাড়ি ও ধন সম্পদ রক্ষা করতে পারিনি। এ ঘটনায় আমার বড় চাচা আনিচুল হক বাদী সদর কোতয়ালী থানায় ৩৮/২৫ নং মামলা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদেরকে গ্রেপ্তার না করে কালক্ষেপণ করতে থাকায় আসামীরা জামিনের সুযোগ পেয়ে যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ সুপারকে অভিযোগ দিলে তিনি তদন্ত করে অবহেলার দায়ে মামলার তদন্তভার অন্য একজনকে দায়িত্ব দেন। এবং শাস্তি স্বরূপ ওই কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করেন। মামলায় জামিন পেয়ে আসামীরা আমাদের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় রংপুর জেলা বিএনপিকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাইনি। বর্তমানে আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ সময় পরিবারের সদস্য আনারুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সুজন মিয়া, কাসুয়ানী বেগম, ফরিদা বেগম, আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ