শিরোনাম
দেশে করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু! আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছি, চাঁদাবাজও তাড়াব : ফয়জুল করীম সম্ভাব্য তিন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন খামেনি রংপুর শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিখোঁজ দুই কিশোরীকে উদ্ধারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম প্রয়োজনে বিএনপি তিন হাজার আসনেও প্রার্থী দিতে পারবে: হেলেন জেরিন খান বিগত ৩ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইসিসহ অন্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে থাকব: ফখরুল বিএনপি নেতার গুদাম থেকে ১৩৫১৫ কেজি চাল উদ্ধার করল সেনাবাহিনী একদিনে সর্বোচ্চ ৩৫২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, একজনের মৃত্যু ড্র দিয়ে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু করেছে বাংলাদেশ
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস

ডেস্ক রিপোর্ট / ৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে সব কিছু ছিল এক ব্যক্তি এবং এক দলকেন্দ্রিক। ইতিহাস মানে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ভুল ধরার সুযোগ নেই। ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত, শিবির, রাজাকার কিংবা সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী ট্যাগ খাবেন।

শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়ে ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘একইভাবে মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের কিংবা সরকারের সমালোচনা করতে পারলেও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেশতা। এটা বলার স্পর্ধা দেখালে আপনি আবার ট্যাগ খাবেন। গুম, খুন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরও সম্মুখীন হতে পারেন।

তখন মনে হতো এমনকি কোনো সময় আসবে কিংবা এমন কিছু মানুষ কি থাকবে, যারা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তত ১৯৪৭ থেকে শুরু করে ২০০৮ পর্যন্ত আমাদের সামনে তুলে ধরবে? সেই সুযোগ তখন ছিল না। এখন আছে।’

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা এই প্রজন্ম চাই, ইতিহাসের এই অধ্যায়গুলোতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি; তিনি যেকোনো দল, মত, ধর্ম, বর্ণ কিংবা ক্ষেত্রের হোক না কেন, তাদের তাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে হবে। তাদের ভালো কাজগুলোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে, সীমাবদ্ধতাগুলোকে অ্যাড্রেস করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘যারা ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, গবেষণা করেন, পড়াশোনা করেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বাকের এই ইতিহাসগুলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে বিভিন্ন পারসপেক্টিভগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরুন। জনগণ বিচার করুক কোনটা তারা গ্রহণ করবে আর কোনটা গ্রহণ করবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদ, জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে যাদের যতটুকু অবদান সেগুলো তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি তাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই সীমাবদ্ধতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

কাউকে ফেরেশতা বানানোর প্রয়োজন নেই, আবার কাউকে উপেক্ষা করারও প্রয়োজন নেই। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দিতে হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ