ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছিল দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (২৩ আগস্ট) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
শুরুতে বিএসএফ তার নাম প্রকাশ না করলেও এবার মিলেছে বিস্তারিত পরিচয়। জানা গেছে, বিএসএফের হাতে আটক ওই বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান। তিনি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত এপিবিএন-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে, তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত খান জানান, মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান গত বছরের ৫ আগস্টের আগে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। পরে তাকে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত এপিবিএন-২-এ বদলি করা হয়। সেখানে তিনি গত বছরের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ১৪ অক্টোবর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে হাজির না হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই থেকে পলাতক ছিলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাকডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছে গেলে বিএসএফ তাকে আটক করে এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। বিএসএফ কর্মকর্তারা তখন জানান, আটক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, তিনি বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। সীমান্তের একটি কাঁটাতারবিহীন অংশ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন তিনি। এ সময় তার সন্দেহজনক আচরণে এগিয়ে যান দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যরা। পরে তাকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা। তবে তিনি কেন অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
কাকডাঙ্গা বিজিবির সুবেদার কামরুজ্জামান জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।