লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সীমান্তবর্তী ধরলা নদীতে শঙ্খদ্বীপ (৭) নামের এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে লাশটি পাওয়া যায়। জানা গেছে, শিশুটি ভারতীয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থানার সাপটিবাড়ী সুস্থিরহাট বাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিল সে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিশুটির খোঁজে ময়নাগুড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। পত্রিকায় ছাপান হারানো বিজ্ঞপ্তি। শিশুটির আধার কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, শিশুটির নাম শঙ্খদ্বীপ। বাবার নাম বিশ্বদীপ ঘোষ। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানার সাপটিবাড়ী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুস্থিরহাট বাজার এলাকায়।
আজ সকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত ধরলা নদী হয়ে ভেসে আসে ওই শিশুর লাশ। উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা এলাকার গুড়িয়াটারি এলাকায় ধরলা নদীর পাড়ে শিশুটির লাশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে থানা-পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে।
শিশুটির গলায় একটি চেইন, হাতে সুতোর বাঁধনসহ একটি ব্রেসলেট এবং কোমরে একটি তাবিজ বাঁধা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মনির হোসেন (৬০) বলেন, ‘সকালে ধরলা নদীতে মাছ ধরতে যাই। একপর্যায়ে নদীতে শিশুটির লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে জানাই। পরে পুলিশ আসে।’
বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, ‘নদীতে শিশুর লাশ পাওয়া গেছে শুনে দেখতে যাই। পরে শুনতে পাই, শিশুটি ভারতীয়। সেখানে (ভারতে) হারিয়ে গেছে।’
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নদীতে শিশুর লাশ পাওয়া গেছে জেনে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ভারতের ময়নাগুড়ি থানা-পুলিশ যোগাযোগ করেছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখা দিয়ে শিশু শঙ্খদ্বীপের লাশ হস্তান্তর করার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নদীতে শিশুর লাশ পাওয়া গেছে জেনে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখা দিয়ে আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় লাশ ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশি পুলিশ ও বিজিবি।