কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে ঢলে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এতে নদ তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশের শঙ্খা রয়েছে।
বুধবার (১৩ আগষ্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিন চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে থাকবে। তবে বিপদসীমা অতিক্রম করবে না। এদিকে, সন্ধ্যা ছ’টায় পাউবো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পাউবো কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সন্ধ্যা ৬ টার প্রতিবেদন বলছে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১০২ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিশেষ করে থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী কাজলঙ্গা, রাজারভিটা, রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ, পাত্রখাতা, তেলী পাড়া, চিলমারী ইউনিয়নের বৈলমনদিয়ার খাতা, নয়ার হাট ইউনিয়নের দক্ষিণখাউরিয়া উওর খাউরিয়ার এলাকায় লোকজন ভোগান্তিতে পড়তে পারে।
রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে দুই একদিনের মধ্যে রাস্তায় পানি উঠবে, বন্যা হলে আমরাই প্রথম বিপদে পরি।
নয়ার হাট ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহাফুজার রহমান জানান, এমনিতেই কিছুদিন থেকে আমাদের এলাকায় নদী ভাঙছে। এর মধ্যে যদি নদীর পানি এভাবে বাড়তে থাকে । তাহলে বন্যা হতে পারে বন্যায় চর অঞ্চলের মানুষ হিসাবে আমাদের খুব দুর্ভোগ পড়তে হয়।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে আগামী দুই-তিন দিন পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি যেতে পারে। তবে বিপদসীমা অতিক্রম করবে না।