‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-সিজন ৫ নিয়ে দর্শকের উন্মাদনা তুঙ্গে। নির্মাতা কাজল আরেফিন অমিও দর্শকদের মূল্যায়ন করেছেন। ইতোমধ্যে ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে ৫ম সিরিজের ৮টি এপিসোড। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন-৫ মুক্তির পর সামাজিকমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এবার ধারাবাহিকের অভিনেতা, নির্মাতাদের বিরুদ্ধে অশ্লীলতা, সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগ তুলে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহি উদ্দিন এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে উল্লেখ করা হয় ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক বিচ্যুতি ও অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে নাটকের নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, সাইদুর রহমান পাভেল, শিমুল শর্মা ও বুম ফিল্মস প্রোডাকশন হাউজকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগকারী আইনজীবী মহি উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ এবং জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী শিশু ও কিশোরদের মানসিক গঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন কনটেন্ট প্রচার করা অপরাধ। অথচ এই নাটকে একের পর এক অশ্লীল ও আপত্তিকর সংলাপ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে এবং সেগুলো কিশোরদের আচরণ ও ভাষায় স্থায়ী প্রভাব ফেলছে।
৭ কার্যদিবসের মধ্যে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-সিজন ৫-এর বিতর্কিত সংলাপগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এ আইনজীবী।
লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, নাটকের সংলাপে ‘ডেট’, ‘উনিশ/বিশ’, ‘টাকা হলে শিশা খেতে পারতাম’, ‘বাঙালি পোশাক লুঙ্গি’ ইত্যাদি নিয়ে এমনভাবে কথা বলা হয়েছে যা নীতিনৈতিকতার পরিপন্থি। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ৫ম সিজনের ১-৮ পর্বে এমন বহু সংলাপ রয়েছে যা অশ্লীল, ডাবল মিনিং এবং সমাজে বিশেষ করে কিশোর-তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।