চট্টগ্রামের পটিয়া থানা চত্বরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ৪০-৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি এনসিপি নেতাদের।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিবাগত রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পটিয়া থানার সামনে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপি নেতা-কর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দেকে ধরে থানায় সোপর্দ করতে যায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে জানান ওসি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী ও এনসিপির মহানগর সংগঠক সাইদুর রহমানসহ আহত হন কয়েকজন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে রাঙ্গামাটি ছাত্রলীগ নেতা পটিয়া স্টেশনে আছে৷ পরে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে যাই। তাকে ধরে থানায় নিয়ে গেলে আমিসহ আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করে। এতে আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের আমলে ওসি জায়েদ চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন। সরকারের পরিবর্তনের পর ওসি জায়েদ নিজেকে বিএনপির ঘনিষ্ঠ হিসেবে প্রচার শুরু করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পটিয়া থানার ওসি হিসেবে যোগ দেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি চট্টগ্রামের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র আরফাত আহমেদ রনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করতে বলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উপর ৪-৫ গাড়ি নিয়ে এসে পটিয়া ওসির নেতৃত্বে বেধরক মারধর করা হয়। এতে ৪০-৪৫ জন আহত হন। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার পটিয়া থানার সামনে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এক ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে আসেন। কিন্তু তারা থানার ভেতরে তাকে মারধর করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।