রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি তিনটি ভাঙচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জাপা নেতাদের ভাষ্যমতে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে রংপুর নগরীর নিউ সেনপাড়ার বাসভবন স্কাইভিউতে আসেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল হাতে নিয়ে জি এম কাদেরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়ির বাগানে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে তারা চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা স্কাইভিউতে ছুটে যান। তাঁরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের একটি বিয়ের দাওয়াতে রংপুরে এসেছিলেন। খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করে বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা কর্মসূচি দেব।’
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির আহমেদ বলেন, ‘আমরা রাতে সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয়ে ছিলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁরা হঠাৎ মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা রংপুরে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি করে আসছিলাম। তারা যে আগুন জ্বালিয়েছে তা নেভাতে পারবে না।’
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক আলমগীর কবির বলেন, এ হামলার সঙ্গে এনসিপির কোন সম্পর্ক নেই। রংপুরে কোন কমিটি নেই। কেউ সেখানে গিয়ে থাকলে সে ব্যক্তিগতভাবে গিয়েছে।
এ ব্যাপারে রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
সূএ : আজকের পএিকা