বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে (বেরোবি) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’। মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র্যালি, প্রীতি খেলা, দোয়া মাহফিল, আতশবাজি প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। ব্যান্ড পার্টি ও ঘোড়ার গাড়ির আকর্ষণে র্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর হয়ে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার মর্ডাণ মোড় ঘুরে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রীতি খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় মসজিদে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আতশবাজি প্রদর্শনের মাধ্যমে কর্মসূচিতে উৎসবের রঙ যুক্ত হয়। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে গান, কবিতা ও নাটকের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা তুলে ধরা হয়।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলী। তিনি বলেন, “জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান আমাদের জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেম, গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পক্ষে জাগ্রত রাখতে এ দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম। শাহাদাৎবরণকারী শহীদ আবু সাঈদসহ সকল শহীদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার দাবি করি।”
উল্লেখ্য, ০৫ আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ঘটে এবং তার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে যা পরবর্তীতে ৩৬ জুলাই (জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস) নামে পরিচিতি পায়।