যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেছেন, আপনারা শুনেছেন আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান দেশ সংস্কারের জন্য ৩১ দফার প্রস্তাবনা দিয়েছেন। যেখানে শিশুর কথা বলা হয়েছে, যেখানে একজন বৃদ্ধের কথা বলা হয়েছে, কৃষকের কথা বলা হয়েছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিএনপি এ দেশের মানুষের কাছে নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হবে।
ইতিমধ্যে তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি যদি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে প্রথম ১৮ মাসেই ১ কোটি জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নওগাঁর সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মাহমুদুস সালেহীনের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গরিব ও দুস্থ মানুষের মাঝে বিনা মূল্যে পশু বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, গত ১৬ বছর এ রকম প্রগ্রাম কি হয়ছিল? প্রগ্রাম তো দূরের কথা, কেউ এলাকায় থাকতে পারেননি। বিশেষ করে ছাত্রদলের কেউ পড়াশোনা করতে পারেনি। ছাত্রদল করার কারণে শ্রেণিকক্ষ চেনার আগেই তাকে চিনতে হয়েছে কারাগার।
বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তারেক রহমান আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তারেক রহমানের ধারাবাহিক সংগ্রামের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমরা তাকে ফেরত নিয়ে এসে বিচার করতে চাই। তাদের লুণ্ঠিত সম্পদ ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান যে ইচ্ছে নিয়ে সংগ্রাম করেছেন তা এখনো পূরণ হয়নি। সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর পায়তারা করছে একটি মহল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর কোন সুযোগ নেই। আগামী দিনে আমাদের কাঙ্খিত ভোট যেন কেউ বানচাল করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গত ১৬ বছর আইন-আদালত সব ছিল, কিন্তু কোনো বিচার ছিল না। গত ১৬ বছর র্যাব, পুলিশ সবকিছুই ছিল কিন্তু মানুষের নিরাপত্তা ছিল না। আমাদের নেতাকর্মীদের তাদের ভয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। খুব দ্রুত একটা নির্বাচন হলে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রশাসনে নিরপেক্ষতা থাকবে, আইন-আদালত থাকবে এবং বিচারও থাকবে। বিএনপি যেমন নিরাপদ থাকবে, যারা বিএনপি করবে না তারাও নিরাপদ থাকবে।
নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, তারেক রহমান বলেননি ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া হবে। কারণ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রার্থীর দলীয় পরিচয় তাকে বাড়তি সুবিধা কিংবা অসুবিধা কোনোটিই দেবে না। গত ১৬ বছর দলীয় আনুগত্যের কারণে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেটি করা হবে না। বিএনপি মানুষের প্রতি ইনসাফ করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের যে কমিটমেন্ট- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, বিএনপি বাংলাদেশে সেটি নিশ্চিত করতে চায়।
আমাদের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামারের কথা বলেছিলেন। তিনি গরিব গৃহস্তদেরকে ছাগল পালনের জন্য উৎসাহিত করেছেন। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন যেন ১ ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি না থাকে। একটা ছোট বাড়ি সেই বাড়ির গৃহস্থরা যেন হাঁস-মুরগি পালন করে, পেপে গাছ লাগায়, শসাগাছ লাগায়, এখানে শাকসবজি আবাদ করে- এসব তিনি বলেছিলেন।
ভবিষ্যতে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে আপনারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে সেই সুযোগ-সুবিধাগুলো পাবেন।
সাপাহার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মাহমুদুস সালেহীন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তাফা, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম রবি, নওগাঁ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপু, সদস্যসচিব রুহুল আমিন মুক্তার, যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম রউশন উল ইসলামসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।