কলেজে শিক্ষকতার সুবাদে বাবার স্কুলেই পড়ত ছোট্ট শিশু হুমায়রা। প্রতিদিন বাবার হাত ধরে স্কুলে যেত শিশুটি। আবার ক্লাস শেষে বাবার সঙ্গেই ফিরে আসত। কিন্তু হঠাৎ বিমান বিধ্বস্তে বাবা প্রাণে বেঁচে ফিরলেও শেষ রক্ষা হয়নি একমাত্র মেয়ের।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ যায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেনাজ আক্তার হুমায়রার।
নিহত হুমায়রা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেন রানার একমাত্র মেয়ে। রানা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হতেয়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন রানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। কলেজে শিক্ষকতার সুবাদে তাদের একমাত্র মেয়ে মেহেনাজ আক্তার হুমায়রা মাইলস্টোন স্কুলেই পড়ত।
নিহতের চাচাতো ভাই কাউসার আহমেদ বলেন, বাসার অনেকেই হুমায়রার মরদেহ গ্রহণের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছে।
স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক সুজন বলেন, ছুটি পেলে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে দেলোয়ার হোসেন গ্রামের বাড়িতে আসতেন। হুমায়রার মৃত্যুর খবর শুনে এলাকায় শোকের মাতম বইছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় হতেয়া কেরানিপাড়া গাবলের বাজার মাঠে হুমায়রার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।