শিরোনাম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুধ ও বৃহস্পতিবারের সকল পরীক্ষা স্থগিত থাকবে আহত বাচ্চাগুলোকে প্রয়োজনে এয়ার এ্যাম্বুল্যান্সযোগে দিল্লি আনা হোক উদ্বোধনের চার বছরেও চালু হয়নি খানসামার ২০ শয্যার হাসপাতাল, নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত স্থানীয়রা মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহত শিক্ষিকা মেহেরীন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাতিজি মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের সহায়তায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে ভারত মিঠাপুকুরে সরকারি রাস্তা থেকে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে খরস্রোতা মানাস নদী আজ বর্ষা মৌসুুমেও পানি শুন্য। বাবার কপালে চুমু খেয়ে ক্লাসে যেত হুমায়রা, মেয়ের কফিনে চুমু দিয়ে বিদায় দিলেন বাবা সিও বাজারে গ্যাস পাম্প বিস্ফোরণ; দুটি কারণ অনুসন্ধান করেছে বিস্ফোরক পরিদপ্তর মাইলস্টোন ট্রাজেডি; হতাহতের জন্য বেরোবিতে বিশেষ দোয়া
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন

বাবার কপালে চুমু খেয়ে ক্লাসে যেত হুমায়রা, মেয়ের কফিনে চুমু দিয়ে বিদায় দিলেন বাবা

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

বাবার কপালে চুমু দিয়ে প্রতিদিন ক্লাসে যেত মেহেনাজ আফরি হুমায়রা (৯)। তবে আর কখনো বাবার হাত ধরে স্কুলে যাবে না মেহেনাজ। কখনো মেয়েকে আদর করতে পারবেন না বাবা। তাই চিরবিদায় দেওয়ার আগে মেয়ের কফিনে বারবার চুমু খাচ্ছিলেন বাবা দেলোয়ার হোসাইন। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া নিহত মেহেনাজের গ্রামের বাড়িতে দেখা যায় এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য।

এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল শাখার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেহেনাজ আফরির মৃত্যু হয়।

মেহেনাজ ওই এলাকার দেলোয়ার হোসাইনের একমাত্র মেয়ে। দেলোয়ার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের সরকারী অধ্যাপক। তবে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেলোয়ার হোসাইন ও তার স্ত্রী সুমি আক্তার প্রাণে বেঁচে গেছেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় মেহেনাজের কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বিকেলের দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বাবা দেলোয়ার হোসাইন মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। এরপর মেহেনাজের মৃত্যুর খবরটি বিকেলেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর থেকেই গ্রামের বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন স্থানীয় লোকজন। সবাই মরদেহের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকেন। রাত ২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে গ্রামের বাড়িতে আসে মরদেহ। এসময় ওই বাড়িতে স্বজনদের আহাজারিতে রাতের আকাশ ভারী হয়ে ওঠে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হতেয়া গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে দেলোয়ার হোসাইন ১৫ বছর আগে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১১ বছর আগে টাঙ্গাইলের মেয়ে সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন দেলোয়ার। তাদের একমাত্র মেয়ে মেহেনাজ আফরি হুমায়রা বাবার স্কুলেই তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো।

বাবা দেলোয়ার হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মেহেনাজের ছুটি হয়েছিল। তাকে বলেছিলাম, ‌‘অপেক্ষা করো—তোমার মা নিতে আসবে’। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে—আমার স্ত্রী শ্রেণিকক্ষের কাছে যাওয়ার আগেই ওর সামনে দিয়ে বিমানটি আমার মেয়ের শ্রেণিকক্ষের ভেতর ঢুকে পড়ে। সব ঘটনা আমার স্ত্রীর চোখের সামনেই ঘটেছে। তাকে কীভাবে সান্ত্বনা দেবো?”

গত কোরবানি ঈদের ছুটিতে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল মেহেনাজ। দাদা-দাদির সঙ্গে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছে। নাতনির সেই স্মৃতি ভুলতে পারছেন না দাদা আব্দুল বাছেদ। তিনি বলেন, ‘আমার দাদু আর কোনোদিন আসবে না! আর আমাকে দাদু বলে ডাকবে না।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ