রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অনন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭২ জন ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের খুঁজতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভিড় করেছেন স্বজন ও শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিমান বিধ্বস্তে আহতদের নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন মাইলস্টোন কলেজের এক শিক্ষার্থী। তিনি নিজেই জানালেন বিমান বিধ্বস্তের বিভীষিকাময় মুহূর্তের কথা।
শিক্ষার্থী জানান, আমাদের ছুটি হয়ে গিয়েছিল। ছুটির পর স্বাভাবিকভাবেই আমরা বাসায় চলে আসি। কিন্তু হঠাৎ ভয়ংকর একটি শব্দ হয়। পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তাও আমাদের প্রাইমারি স্কুল সেকশনে। তখন কী ঘটনা হয়েছে তা জানতে স্বাভাবিকভাবে যাই ওইখানে। পরে দেখি অনেকজন খুব বাজেভাবে আহত হয়েছে।
দু-তিনটি বাচ্চা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতেছে, আপু বাঁচাও। এখন আমি কীভাবে ওদের ছেড়ে আসব।
পরে আমি ওদের নিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেলে যাই। সেখান থেকে আমাদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।