শিরোনাম
পালানোর অভিযোগ: ৩ এসপিসহ ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত রাশিয়ার মিসাইল হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত বিমানবন্দরে আসিফের ব্যাগে অ্যামোনেশনসহ মাগাজিন, ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা কুড়িগ্রামে দেড়শ বছরের পুরনো সেতুর পাটাতন ভেঙে যানচলাচল বন্ধ। মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল: মনোনয়নপত্র সংগ্রহে প্রার্থীদের উৎসবমুখর উপস্থিতি ভুয়া সনদে চাকরির অভিযোগ,সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ৪ আত্মীয়ের  আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ী-শ্রমিকরা দিনাজপুর বোর্ডে বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় বহিষ্কার ২, অনুপস্থিত ১৪৬৭ বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ মামলা তুলে নিতে চান সেই নারী, বললেন—সবাই শান্তিতে থাকুক
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন

বড় বড় সমাবেশ করে জাতির কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবেন না

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এভাবে বড় বড় সমাবেশ করে জাতির কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবেন না। মোবাইল দিয়ে যদি প্রমাণ করা যায় কে কত জনপ্রিয়, আমরা সারা বাংলাদেশকে একদিনে সমাবেশের আওতায় আনতে পারি।

রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে রমনা থানা বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম ২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, এভাবে বড় বড় সমাবেশ করে জাতির কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবেন না। মোবাইল দিয়ে যদি প্রমাণ করা যায় কে কত জনপ্রিয়, আমরা সারা বাংলাদেশকে একদিনে সমাবেশের আওতায় আনতে পারি। সারা বাংলাদেশ একদিনে সমাবেশ করবে। কেউ কোনো জায়গায় ছাড়বে না। এটাতো সিস্টেম হলো না।

তিনি বলেন, সবাইকে অনুরোধ জানাবো আউল ফাউল কথাবার্তা বইলেন না কেউ। মনে করবেন না, সুবিচারের লোক বলে সুখি হয়ে যাবেন, সুখি না। আপনারা এই সমস্তকথাবার্তা বলে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করবেন না।

তিনি বলেন, সবাইকে অনুরোধ জানাবো আউল ফাউল কথাবার্তা বইলেন না কেউ। মনে করবেন না, সুবিচারের লোক বলে সুখি হয়ে যাবেন, সুখি না। আপনারা এই সমস্ত কথাবার্তা বলে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করবেন না।

ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ রেজাউল করীমকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, যখন বিএনপি-জামায়াতের ওপরে স্টিম রোলার চালানো হচ্ছিল, তখন ওই দলটি এবং তার নেতা দূরে থেকে বাহবা দিয়েছেন। ইনডাইরেক্টলি হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছে। কালো নির্বাচন, রাতের নির্বাচন, দিনের নির্বাচন; তিনবার নির্বাচন হয়েছে উনারা কোনো প্রতিবাদ করেন নাই। এখন লম্বা কথা বলতেছেন, আগে দিতে হবে স্থানীয় নির্বাচন, এরপর পিআর সিস্টেম (আনুপাতিক পদ্ধতি) নির্বাচন- না হয় এ দেশে কোন নির্বাচন হবে না।

মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে পিছিয়ে দিয়ে জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে। একেকজন একেকটা দাবি তুলে নির্বাচনকে পিছিয়ে, নির্বাচনের অবস্থা সর্বনাশ করে দিয়ে এ জাতির সর্বনাশ করতে চাচ্ছে।

পিআর পদ্ধতি কই থেকে আসে প্রশ্ন মির্জা আব্বাসের। তিনি বলেন, দেশটাকে সুন্দর করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিছু করেন না, শুধু আপনার কথামতই হতে হবে, স্থানীয় সরকার আগে হতে হবে, আবার পিআর ভোট করতে হবে। কেন ভাই? কই থেকে আবিষ্কার করেন এগুলো? কে দেয় বুদ্ধি আপনাদের? এই সমস্ত কু পরামর্শ নিয়ে, এই দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করার জন্য একদল লোক আজকে মাঠে নেমেছে।

ইরানের উদাহরণ টেনে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদরের মুসলিম বিশ্বের কেউ যখন তাকে সমর্থন দিল না, ইরান একাই যুদ্ধ করে গেল। কারণ জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল। আর আমার দেশের মধ্যে কিছু রাজনীতিবিদ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, কিছু রাজনীতিবিদ ক্ষমতায় যেতে দেব না এই করে করে দেশটাকে গত ৫০ বছরে এগোতে দিলো না। দেশটাকে আমরা ধীরে ধীরে শেষ করে দিচ্ছি।

দেশকে ভালোবেসে সবাইকে এক জায়গায় আসার আহ্বান জানান মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, যারা দেশকে ভালোবাসেন একটা জায়গায় আসেন। যে জায়গায় গেলে পরে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতি হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ