দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
সার্ভেয়ার ফল্টের কারণে সোমবার (২১ জুলাই) সকালে এই ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পার্বতীপুরসহ উত্তরাঞ্চলের অন্তত ৮টি জেলা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে। এই ইউনিটটি প্রতিদিন ১৬০ থেকে ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করত। ইউনিটটি সচল রাখতে দৈনিক প্রয়োজন হতো প্রায় ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৫০-৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়।
অপরদিকে, কেন্দ্রের আরেকটি ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিট ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে মেরামতের জন্য বন্ধ রয়েছে। প্রায় ৪ বছর ৮ মাস ধরে বন্ধ থাকা ইউনিটটি চালু থাকলে ৬৫-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারত।
তিনটি ইউনিট সম্পূর্ণভাবে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন প্রায় ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লা। কিন্তু বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩০৫ ফেইজের কয়লা মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় ২৩ জুন থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ডে মজুত আছে প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা।
প্রধান প্রকৌশলী আরও জানান, “৩য় ইউনিটটি মেরামতের কাজ চলছে। আশা করছি, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এটি আবার উৎপাদনে যাবে। তখন এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ লোডশেডিং অনেকটাই হ্রাস পাবে।