বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন নিমগাছি ইউনিয়নের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। শুধু মারধরই নয়, সন্ত্রাসীরা তাকে অবরুদ্ধ করে জিম্মি করে রাখে এবং জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের পিরাপাট বাজার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়শিং–বগুড়া সড়কের পিরাপাট বাজার এলাকায় সুকলু মিয়া ও তার ভাইদের মালিকানাধীন প্রায় ছয় শতক জমি ২০০৪ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিগ্রহণ করে। এর মূল্য বাবদ সুকলু মিয়া ২০ হাজার ৬১৬ টাকা উত্তোলনও করেন। অভিযোগ রয়েছে, পরবর্তীতে তিনি ও তার সহযোগীরা ওই জমি অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেন, ফলে এলাকার মানুষের চলাচল ব্যাহত হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল সুকলু মিয়া ও তার সহযোগীদের অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা নির্দেশ অমান্য করে আরও স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। পরে ইউএনও’র নির্দেশে বুধবার বিকালে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সেখানে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে সুকলু মিয়া ও তার সহযোগীসহ ৪০–৫০ জন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে মারধর ও জিম্মি করে ফেলে। এসময় তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেয়া হয়।
খবর পেয়ে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে। এসময় স্ট্যাম্পও উদ্ধার করা হয়।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, “খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ভুমি কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেছি। তিনি মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভূমি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, “একজন সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”