বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচার নিশ্চিত করতে চাওয়া সেই শ্রমিক লীগ নেতা নাজমুল হক ইমু গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতা হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-৪-এর একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার নাজমুল হক ইমু আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি আশুলিয়া থানা শ্রমিক লীগের প্রচার সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক লীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সদস্য বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, শ্রমিক লীগ নেতা নাজমুল হক ইমু গোপনে আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে আশুলিয়ার আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থায়ন করছেন।
জানা যায়, গ্রেপ্তার নাজমুল হক ইমু দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গা ঢাকা দেন এই শ্রমিক লীগ নেতা। পরে কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন তিনি। এরপরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচার নিশ্চিত করতে চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরে তিনি আবারও আত্মগোপনে চলে যান।
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ১৫ আগস্টের একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন শ্রমিক লীগ নেতা নাজমুল হক ইমু। এ সময় তিনি বলেন, ‘গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক জিয়া বিদেশে লুকিয়ে আছে, লন্ডনে লুকিয়ে আছে। তাকে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান শাস্তি না দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করেছেন বিদেশের অ্যাম্বাসিতে এবং এখনো তারা পালিয়ে আছে বিভিন্ন দেশে। তাদের বাংলাদেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।’
আশুলিয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্র-জনতা হত্যার মামলার এক আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।