জাতীয় নাগরিক পার্টির দুই নেতা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন শরীয়তপুর জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম ও সদস্য মো. পলাশ খান।
আজ শুক্রবার তারা নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শরীয়তপুর জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম তার ফেসবুকে লেখেন, ব্যক্তিগত কারণে এনসিপির সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিলাম।
একইভাবে মো. পলাশ খানও লেখেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শরীয়তপুর জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি (পদত্যাগ) নিলাম।
পদত্যাগের পেছনের কারণ সম্পর্কে পলাশ খান বলেন, এনসিপি আমার জন্য শুধু রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, এটা আমার আবেগের জায়গা। কিন্তু জেলা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো আলোচনার সুযোগ রাখা হয়নি। মাত্র ২-১ জনের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে, সে আপত্তি থেকেই এই অব্যাহতি।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই এনসিপি সত্যিকার অর্থেই একটি বিকল্প ও গঠনমূলক রাজনীতির মঞ্চ হয়ে উঠুক। যে রাজনীতিতে থাকবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব। ব্যক্তিগতভাবে আমি এখনো এই রাজনৈতিক দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শরীয়তপুর জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন। তবে এখন পর্যন্ত পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। রুহুল আমিন বলেন, ফেসবুকে দেখেছি তারা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে এখনো পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া পলাশ খান গণমাধ্যমে বলেন, ‘এনসিপি আসলে আমার একটি আবেগের জায়গা। তবে এই সমন্বয় কমিটি কোনো আলোচনা ও পরামর্শ ছাড়া দু-একজনের ইচ্ছামতো করা হয়েছে। সেই আপত্তি থেকে এই কমিটি থেকে আমার অব্যহতি নেওয়া।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, দলের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ, সমন্বয়হীনতা ও নেতৃত্বে আস্থার সংকট থেকেই এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই মনে করছেন, বিষয়টি ভবিষ্যতে এনসিপির জেলা পর্যায়ের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।