ফুটবল বিশ্বের কিংবদন্তি লিওনেল মেসি তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেললেন। দীর্ঘ দুই দশকের জাদুকরী ফুটবল জীবনের পর মেসি যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন গ্যালারিতে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক এবং বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তের চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। নস্টালজিয়ায় মোড়ানো এই দিনে ফুটবল বিশ্ব হারালো এক যাদুকরকে, যিনি তাঁর পায়ের জাদুতে বিমোহিত করে রেখেছিলেন গোটা পৃথিবীকে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল শুধু একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, এটি ছিল একটি যুগের পরিসমাপ্তি। মেসির প্রতিটি ড্রিবল, প্রতিটি পাস, এবং প্রতিটি গোল যেন তাঁর ক্যারিয়ারের সোনালী মুহূর্তগুলোকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল। ম্যাচ শেষে যখন তিনি সতীর্থদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছিলেন, তখন তাঁর চোখেও ছিল জল। তাঁর ক্লাব এবং জাতীয় দলের সতীর্থরা তাঁকে কাঁধে তুলে নিয়ে সম্মান জানায়।
মেসির ফুটবল ক্যারিয়ার ছিল সাফল্যের এক অবিস্মরণীয় উপাখ্যান। বার্সেলোনার হয়ে অসংখ্য শিরোপা জয়, আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা এবং বহু প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপ জয়—সবকিছুই তাঁকে সর্বকালের সেরাদের কাতারে স্থান দিয়েছে। তাঁর পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা, তাঁর বিনয়ী আচরণ তাঁকে করেছে আরও বেশি জনপ্রিয়।
বিদায়বেলায় মেসি বলেন, “ফুটবল আমাকে সবকিছু দিয়েছে। এই খেলাটির প্রতি আমার ভালোবাসা চিরন্তন। ভক্তদের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
মেসির বিদায় ফুটবল বিশ্বে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। তবে তাঁর কিংবদন্তি হয়ে থাকবে চিরকাল। আগামী প্রজন্ম তাঁকে দেখবে অনুপ্রেরণা হিসেবে, আর তাঁর জাদুকরী মুহূর্তগুলো বেঁচে থাকবে ফুটবল ইতিহাসের পাতায়। ধন্যবাদ মেসি, ফুটবলকে এত সুন্দর করে তোলার জন্য।