নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনের ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাও। ইতোমধ্যে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের বাহাগিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার নাম মাহজুবা উম্মে লাবনী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতের আঁধারে গোপনে ইট সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। বিষয়টি টের পেয়ে তারা দুটি ইটবোঝাই ট্রলি আটক করে পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেলে পুরোনো ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। ভাঙা ভবনের ইট ও অন্যান্য সামগ্রী মাঠে স্তূপ করে রাখা ছিল। গত ২০ জুন রাতে তারা দেখতে পান, কয়েকজন ব্যক্তি ট্রলিতে করে ইট তুলে নিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কামরুজ্জামান সবুজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাঝরাতে দেখি স্কুলের মাঠ থেকে ট্রলিতে করে ইট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা ট্রলি আটক করে পুলিশে খবর দিই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ইটগুলো মাঠে নামিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা প্রাথমিক শিক্ষার রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা সরকারি অনুমতি ছাড়াই সরকারি সম্পদ বিক্রির চেষ্টা করেছেন, যা আত্মসাতের শামিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করছেন।প্র
নীলফামারীর প্রতিনিধি জানায়, প্রধান শিক্ষিকা মাহজুবা উম্মে লাবনীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মোবাইলে পাঠানো খুদে বার্তারও কোনো জবাব দেননি তিনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় ইট বিক্রি ঠেকানো গেছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।