নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআরও)প্রকল্পে সেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলার সচেতন মহলে চলছে সমালোচনা। টিআর প্রকল্পের টাকা স্থানীয় দুস্থদের পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের অফিসার্স ক্লাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের অবসর সময় কাটানোর অফিসার্স ক্লাব, উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের বাধ নির্মাণ ও পরিষদের ঈদগাহ মাঠে এসব দুস্থের বরাদ্দ ব্যবহার করা হয় ।
আরও জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পের টাকা সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও দরিদ্র জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যশস্য সরবরাহ ও জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিসহ সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নকাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সংসদ সদস্য না থাকায় প্রকল্পটি প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব বরাদ্দে এ উপজেলায় ব্যাপক অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতা দেখা দিয়েছে। এতে অফিসার্স ক্লাবে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৬৪ টাকা, উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড় ২ লক্ষ ৩০ হাজার ও উপজেলা পরিষদের ঈদগাহ মাঠে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, দুস্থ মানুষ বরাদ্দ দিয়ে যদি অফিসাররা নিজের কাজ করে তাহলে সেটা লজ্জাজনক। সরকার যেটার জন্য বরাদ্দ দিয়েছে সেটা করা জরুরি। আমরা সরকারের বরাদ্দ সঠিকভাবে কাজ হোক সেটাই চাই।
আরেক বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিজের খেয়াল খুশি মত বরাদ্দ দিয়েছে। তিনি দুস্থ আর গ্রামীণ কাজ না করে অফিসারদের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে এটা দুংখের বিষয়। আমরা চাই এসব বরাদ্দ সঠিকভাবে দেওয় হোক।
এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( পিআইও) লতিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেনি।
জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন,বরাদ্দে এমন হয়ে থাকলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।