আজ বুধবার (৭ মে) সকালে বিবিসি লাইভের এক খবরে দক্ষিণ এশীয় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, তারা চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’এবং উভয় দেশকে ‘শান্ত থাকতে, সংযম প্রদর্শন করতে ও পরিস্থিতি আরও জটিল করতে পারে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে’আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তিনি উভয় পক্ষকে ‘যোগাযোগের মাধ্যম খোলা রাখতে এবং উত্তেজনা এড়াতে’ আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) ভোরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও কমপক্ষে ৩৬ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে ভারতের ক্ষেপণান্ত্র হামলার জবাবে দেশটির পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের সঙ্গে বুধবার (৭ মে) এ তথ্য জানান তিনি। এছাড়া কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটকের দাবিও করেছেন তিনি।
খাজা আসিফ বলেন, “যদি ভারত আগ্রাসী মনোভাব বাদ দেয় তাহলে তারা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কিন্তু ভারত যদি আগ্রাসী কিছু করে তাহলে তারা অবশ্যই জবাব দেবেন। যদি এসব শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়, আমরা অবশ্যই ভারতের সঙ্গে কথা বলব। আমরা চাই না এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হোক। কিন্তু ভারত থেকে যদি শত্রুতাপূর্ণ কিছু আসে, তাহলে আমাদের জবাব দিতে হবে।”
যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের ৯ জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ভারত। এর জবাবে তাৎক্ষণিকভাবে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে ইসলামাবাদ।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দোষারোপ করার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। যা মঙ্গলবার রাতে চূড়ান্তরূপ ধারণ করে।