পঞ্চগড়ে ডিবি পুলিশ লেখা একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের হেলিপোর্ট এলাকার মৈত্রী চা-কারখানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলো সদর উপজেলার জগদল গোয়ালপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে ইয়াসিন আলী (৭) ও একই উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে আহমদ আলী (৫৫)।
আহত ব্যক্তিরা হলো ইজিবাইকচালক শরিফুল ইসলাম (৪৫), নিহত ইয়াসিনের বড় ভাই সাদেকুল ইসলাম (৩০) ও কাজীরহাট এলাকার প্রিয়া আক্তার (১৬)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইজিবাইকে চড়ে কয়েকজন জেলা শহর থেকে জগদল বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মৈত্রী চা-কারখানার সামনে পৌঁছালে একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে ডিবি পুলিশ লেখা ওই মাইক্রোবাস ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। সেই সঙ্গে মাইক্রোবাসটি সড়কের নিচে পড়ে যায়।
পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ইয়াসিন আলী ও আহমদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত ইজিবাইকচালক শরিফুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত সাদেকুল ইসলাম ও প্রিয়া আক্তার আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে মাইক্রোবাস ও ট্রাক আটক করে মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী মাজেদুল ইসলাম বলেন, ইজিবাইকটা স্বাভাবিকভাবে যাচ্ছিল। হঠাৎ ডিবি পুলিশ লেখা মাইক্রোবাস এসে ধাক্কা দিলে সবাই ছিটকে পড়ে। আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী শাকিল ইসলাম জানান, মাইক্রোবাসটি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। অটোরিকশাটাকে ধাক্কা দিয়ে সেটি রাস্তার নিচে নামিয়ে দেয়। আরেকটু হলে গাড়িটি তাঁদের বাড়িতে ঢুকে যেত বলে মন্তব্য করেন শাকিল।
আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামসুল আরিফিন সুভ বলেন, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে দুজন মারা গেছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুরে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, হেলিপোর্ট এলাকায় দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে।