শিরোনাম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়ানো সেই মাসুদ এখন রমনার ডিসি প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় লাশ হলেন দুই ভাই আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ আ.লীগের ব্যবসাগুলো কারা চালায় আমরা জানি : হাসনাত আবদুল্লাহ পীরগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরো ছয়জনকে পুশ-ইন পঞ্চগড়ে ছেলের গলায় ছুরি ধরে মাকে গণধর্ষণ দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

পঞ্চগড়ে ছেলের গলায় ছুরি ধরে মাকে গণধর্ষণ

স্থানীয় রিপোর্ট / ২১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

পঞ্চগড়ে দেড় বছর বয়সী ছেলের গলায় ছুরি ধরে মাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৪ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার তিন মাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগদল বাজার এলাকার জনি ইসলাম (২৭), বিপ্লব হোসেন (২৫), মকছেদুল ইসলাম (৩৩) এবং সাতমেড়া ইউনিয়নের বদিনাজোত এলাকার সাদেকুল ইসলাম (২৮)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে দ্রুত সাড়ে তিন মাইল এলাকায় যাই। সেখানে অচেতন অবস্থায় এক নারী এবং তার সঙ্গে থাকা একটি দেড় বছরের ছেলে শিশুকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, আমার ছেলের হঠাৎ ডায়রিয়া হওয়ার কারণে রাতে বাবার বাড়ি জগদলের উদ্দেশ্য বোদা উপজেলার জেমজুট এলাকা থেকে গাড়িতে করে পঞ্চগড়ে আসি। এরপর জগদলের অটোতে (ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার) করে তিনমাইল পর্যন্ত আসি। এসময় আমাদের অটোর পেছনে থাকা এক পরিচিত অটোচালক আমাকে নামতে বলে। আমি অটো থেকে নামার সাথে সাথে ৬টা ছেলে কেউ আমার হাত, কেউ মুখ, কেউ গলা চেপে ধরে একটা চা পাতার বাগানে নিয়ে যায়। এসময় তাদের কাছে আমি অনেক আকুতি মিনতি করি।

আমি যেন না চিৎকার করি সেজন্য আমার ছোট বাচ্চার গলায় ছুড়ি ধরে, তখন আমি নিরুপায় হয়ে যাই। এসময় আমি ছয়জনের মধ্যে চার জনকে চিনতে পারি। তারা চলে যাওয়ার সময় আমার মুখে কি জানি স্প্রে করলো, তারপর আর কিছু বলতে পারি না।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বড় ভাই বলেন, রাত দেড়টায় পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি বোনের শরীরে অনেক রক্ত ছিল। অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। আমার বোনের সঙ্গে যারা এমন অমানবিক কাজ করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ