শিরোনাম
ইরানে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশি ৬৭২, খোঁজ রাখছে দূতাবাস গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে আমির হামজা ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বোমা ফেলেছে ইসরায়েল রংপুর শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ কুড়িগ্রামের উলিপুরে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিএনপির কমিটিতে, তৃণমুলের ক্ষোভ ইশরাকের শপথের সূযোগ নেই বললেন উপদেষ্টা আসিফ; এদিকে শপথ ছাড়াই মেয়রের ‘আসনে’ বসলেন ইশরাক রংপুরে চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার পারমাণবিক অস্ত্র না বানানোর চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা ইরানের দেশে একদিনে আরও ২৩৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীতে সিজারের পর রোগীর মৃত্যু, ক্লিনিক সিলগালা

ডেস্ক রিপোর্ট / ৫৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

নীলফামারীর ডোমারে চিকিৎসকের অবহেলার কারণে ক্লিনিকে সিজারের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বেবী আক্তার (২৮) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তবে নবজাতক সুস্থ রয়েছে। ঘটনার পর ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে এবং তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৫ জুন) দুপুরে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবহেলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ডা. নাজমুস সাকিব, সেবিকা সুমনা আক্তার ও সাবিয়া আক্তার।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগার পাড়া এলাকার নূর আলমের স্ত্রী বেবী আক্তার ১৪ জুন বিকেলে প্রসব বেদনায় জনতা ক্লিনিকে ভর্তি হন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানা ইয়াসমিন কিছু পরীক্ষা দেন এবং রিপোর্ট দেখে জানান, রোগীর পেটে ‘পানি নেই’, তাই সিজার করতে হবে।

পরে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সিজার করে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন বেবী আক্তার। সিজারের সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. রিজওয়ানা ইয়াসমিন, ডা. নিহার রঞ্জন এবং অপারেশন থিয়েটারের সহকারী বিপুল সরকার।

সিজারের পর রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেননি। রক্তক্ষরণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রোববার ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেবী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাতে রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনরা ক্লিনিকে এসে চিকিৎসকদের বিচারের দাবি জানান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া না গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জেনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অবহেলার সত্যতা পাওয়ায় জনতা ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ