এখন অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিতে চাচ্ছে না। নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী। আমরাও মনে করি নির্বাচনটা খুব জরুরি বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্লেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কিন্তু কায়দা-কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কি কি বিষয় সামনে এনে নির্বাচনটাকে কিভাবে ঠেকানো যায় সেই বিবেচনা সামনে এনেছে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ মনে করে তারাই ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি এবারে প্রথম ক্ষমতায় যাবে তা নয়, এর আগেও একাধিকবার জনগণের সমর্থন নিয়ে ভোটে জিতে ক্ষমতায় গেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমানের সাথে ডক্টর ইউনূস যখন লন্ডনে বৈঠকে বসেছিলেন তার আগে বাংলাদেশ একটা অস্থিরতার মধ্যে চলে গিয়েছিল। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারত না। বৈঠকের পর একটা আশার অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, নির্বাচন হবে।
আমি সরকারকে অনুরোধ করব ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে হোক মাঝে হোক নির্বাচনের একটি দিন ঘোষণা করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে আমার মনে হয় এখন যে সংকট সেটা অনেকাংশে কেটে যাবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা, বিএনপি-ছাত্রদলসহ যারা বুকের রক্ত দিয়েছে তাদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যারা এখন আহত তাদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব যেমন সরকার নিয়েছে বিএনপিও নিয়েছে। আমাদের সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বৈরতন্ত্র যেন বাংলাদেশে ফিরে না আসতে পারে তার একমাত্র পথ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না। গণতন্ত্র ছাড়া মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এই জিনিসটি বর্তমান সরকারকে মাথায় রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নাই। আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগকে হত্যা করেছে, খুন করেছে। সেই হত্যাকারী শেখ হাসিনা।