আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য দলকে নিয়ে একটি নির্বাচনি জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদ। এছাড়া আগামী দিনে জাতীয় সংকট মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে দল দুটি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের এক মতবিনিময় সভায় এসব বিষয়ে একমত হন নেতারা। এসময় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
সভা শেষে রাত ৯ টার পর এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আমরা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সভায় আশা প্রকাশ করা হয়, উভয় দল আগামী দিনে জাতীয় সংকট মোকাবেলায় একসাথে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনের কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দেশের সব ছোট-বড় দলের মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে আমরা উভয় দলই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে আয়োজনের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অকার্যকর থাকায় জনগণ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়েছে। যদি নির্বাচনের আগে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে একমত পোষণকারী সব দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এসব দাবি আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য দলকে নিয়ে একটি নির্বাচনি জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ‘জুলাই সনদ’ ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি নুরুল হক নূর, মুখপাত্র ফারুক হাসান এবং উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, আব্দুজ জাহের, হাবিবুর রহমান রিজু ও রবিউল হাসান।