বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক নারী (৩০) ও এক পুরুষের (৩৫) হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে বরিশুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি। এর আগে দুপুরে মীরেরবাগ এলাকা থেকে আরও একটি শিশু ও নারীসহ দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে সদরঘাট পুলিশ। এ নিয়ে মোট একদিনে চারটি মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন মাদারীপুর টিনের মসজিদ ঘাট এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠিয়েছে নৌ পুলিশ।
বরিশুর নৌ পুলিশের এসআই মুক্তার হোসেন জানান, মরদেহ দুটি নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করি। মরদেহ যাতে ভেসে উঠতে না পারে সেজন্য ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তার সাথে হাত বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। মরদেহগুলো একেবারে পচে গলে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে আজ দুপুরে বুড়িগঙ্গায় আধ ঘণ্টার ব্যবধানে ভাসমান অবস্থায় নারী ও শিশুসহ দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তারা সম্পর্কে মা ও ছেলে। উদ্ধারকৃত নারীর বয়স ৩৫ ও শিশুটির বয়স ৩-৪ বছর। এ সময় উদ্ধারকৃত নারীর পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ এবং গলায় বোরকার হাতা দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। আর উদ্ধারকৃত শিশুটির গলায় ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে তাদেরকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।