নদীপথে চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির সদস্য আজমল হোসেনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (০৯ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ।
গ্রেপ্তাকৃত আজমল হোসেন নদী পথে নৌকা আটকে চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির সদস্য। তিনি উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।
সিলেটের গোয়াইনঘাটের নৌপথে চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির সদস্য আজমল হোসেনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (০৯ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ।
গ্রেপ্তাকৃত আজমল হোসেন নদী পথে নৌকা আটকে চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির সদস্য। তিনি উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।
এছাড়াও চাঁদাবাজি মামলায় আটক অন্যান্য আসামিরা হলেন উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের মৃত আ. সালামের ছেলে সুলতান আহমদ, ফজর রহমানের ছেলে বিল্লাল মেম্বার, মৃত মুসাব্বিরে ছেলে সুবহান, ফারুক আহমেদের ছেলে শাকিল, মৃত ফজু রহমানের ছেলে ফারুক মিয়া ও মৃত আ. মুসাব্বিরের ছেলে ফয়সল মৌলবি।
জানা গেছে, সরকারের ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে বালুবাহী যাওয়ার পথে আজমল হোসেনের নেতৃত্বে সক্রিয় একটি চাঁদাবাজ চক্র গত মাসে অবৈধভাবে বালুবোঝাই করা প্রায় দুই শত বাল্কহেড আটক করে রাখেন। এ নিয়ে ওই সময় ইজারাদারের সঙ্গে কয়েকবার সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া আজমল গংদের নিয়ে বিষয়টি নিরসনের জন্য বসলেও তার কোনো সুরাহ হয়নি। সে সময় সমাধান না পেয়ে নৌ শ্রমিকরা চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে গোয়াইনঘাট থানার সামনে বিক্ষোভ করেছিল।
আরও জানা যায়, বালুবোঝাই প্রায় দুই শত বাল্কহেড দুই সাপ্তাহ ধরে লেংগুড়া গ্রামের আজমল বাহিনীর জিম্মি করে আটকে রেখেছিল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও প্রশাসনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাও দিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাল্কহেড সঙ্গে আসা শ্রমিক ও স্থানীয় নৌকা শ্রমিকদের জোরপূর্বক জিম্মি করে রাখার ঘটনায় গত ৬ জুলাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয়। পরে আজমলগংদের হাত থেকে জিম্মি থাকা বালুবোঝাই বাল্কহেডগুলো উদ্ধার করে যৌথবাহিনীর অভিযানিক দল। সে সময় কয়েকঘণ্টাব্যাপী অভিযানে আজমল পালিয়ে গেলেও তার কিছু সংখ্যক লোক সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরলে তাৎক্ষণিক ছয়জনকে আটক করা হয়।
অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় দেশীয় অস্ত্র এবং অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি। মামলায় ৩২ নাম উল্লেখ করা হয়। আর অজ্ঞাতনামা ৪০-৪৫ জনকে আসামি করা হয়।
এরপর থেকে আজমল পলাতক থাকলেও শনিবার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে আজমলসহ ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯।
র্যাব-৯ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে অভিযান পরিচালনা করে আজমলসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে তাদের গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, চাঁদাবাজির একটি মামলার প্রধান আসামি আজমলসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৯। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।