ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ২-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। এই জয়ে গত সেপ্টেম্বরে সবশেষ দেখায় তাদের কাছে ১-০ গোলে হারের মধুর প্রতিশোধও নেওয়ার পাশাপাশি আগামী মঙ্গলবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে নিল দল।
ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিট, কর্নার নিতে এগিয়ে গেলেন জামাল ভূঁইয়া। ভুটানের রক্ষণে খেলোয়াড়দের ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে হামজা চৌধুরী নামের এক প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা লড়াকুর নিখুঁত হেড, বল ছুঁয়ে গেল ভুটানের জাল। সেই সঙ্গে স্টেডিয়ামের বুক কাঁপানো গর্জন—এ যেন বহুদিন পর হারানো কিছু ফিরে পাওয়ার উল্লাস!
ইংল্যান্ডে জন্ম, লেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগের রঙিন জার্সি গায়ে চাপিয়ে ৫৭টি ম্যাচে খেলে ক্যারিয়ারের মাত্র একটি গোল করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ, আর তাতেই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেললেন এই মিডফিল্ডার। জাতীয় দলের জার্সিতে পেলেন নিজের প্রথম গোল।
বাংলাদেশ খেলেছে অনেকটা ওপরে উঠে, যেন হারিয়ে যাওয়া আক্রমণাত্মক ফুটবলের গন্ধ পাওয়া গেছে আবার। হামজা ছিলেন প্রায় প্রতিপক্ষের অর্ধ জুড়ে। রক্ষণে তাঁর কাজ তেমন লাগেনি, বরং মাঝমাঠে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের একাদশে আজ ছিল অভাবনীয় এক বৈচিত্র্য—পাঁচ প্রবাসী ফুটবলার একসঙ্গে! জামাল, হামজা, ফাহামিদুল, কাজেম, আর তারিক। রক্ষণে দুই ভাই—সাদ ও তাজ উদ্দিন। কিন্তু প্রথমার্ধে কিছুটা সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়েছে। তাই দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই তিন বদল আনেন কোচ কাবরেরা। তুলে নেন হামজা, জামাল ও কাজেমকে। নামান হৃদয়, মোরছালিন ও ইব্রাহিমকে।
৪৯তম মিনিটে ডান দিক থেকে রাকিবের বাড়ানো ক্রস ইয়েসি হেডে পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল যায় সোহেলের পায়ে। বাম পায়ের দারুণ ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই মিডফিল্ডার।
শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ানো ভালো সুযোগ এসেছিল, কিন্তু পর্যাপ্ত সময়ে পেলেও ইব্রাহিম পারেননি ভুটান গোলকিপারকে পরাস্ত করতে। কাছের পোস্টে নেওয়া তার শট সহজেই আটকে দেন ভুটানের গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে হামজা-ফাহমিদুলদের নতুন বাংলাদেশ দল।